১ জন প্রকাশককে হত্যা এবং আরো ৩ জনকে কুপিয়ে আহত করার প্রতিবাদে আজ সোমবার সারাদেশে বইয়ের দোকান বন্ধ রেখেছেন প্রকাশকরা।
সকাল থেকে ৬ ঘন্টা দোকান বন্ধ রেখে তারা এই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছেন।
দেশের প্রায় ৪৫০০ পুস্তক প্রকাশক এবং বিক্রেতা এই কর্মসূচি পালন করেছে। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকায় প্রকাশকদের পক্ষ থেকে একটি মৌন মিছিল বের করা হয়।
এরপর বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির পক্ষ থেকে ঢাকার জেলা প্রশাসকের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে একটি স্মারকলিপি দেয়।
বই প্রকাশকরা বলছেন সর্বশেষ হত্যাকাণ্ড তাদের আতঙ্কিত করে তুলেছে।
ঢাকা পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি আলমগীর শিকদার বলেন বই ছাপানোর ক্ষেত্রে এখন প্রকাশকরা অনেক বেশি সতর্ক থাকবে।
মি: শিকদার বলেন , ‘কোন প্রকাশক ঝুঁকি নেবে না। আগে জীবন ,পরে ব্যবসা।’
বাংলাদেশে চলতি বছর একের পর এক ব্লগার হত্যা করা হলেও এখনো কোন অপরাধীর বিচার হয়নি।
প্রকাশকরা বলছেন যেসব বইতে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে ‘সমালোচনা বা ভিন্নমত’ প্রকাশ করা হয়, সেসব বই তারা প্রকাশ করবেন কিনা সেটি নিয়ে তাদের সংশয় রয়েছে।
শ্রাবণ প্রকাশনার কর্ণধার রবীন আহসান বলেন বইয়ের দোকান বন্ধ রেখে তারা সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা জাগাতে চান। অনেক প্রকাশক বলছেন তারা ‘ভীতসন্ত্রস্ত’।
একের পর এক হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ তুলে মি: আহসান বলেন, ‘কোন কিছুতেই লাভ হচ্ছে না। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে চলে গেছে যেখানে একজন বাবাকে বলতে হচ্ছে তিনি সন্তান হত্যার বিচার চান না।’
প্রকাশকরা একুশে বইমেলা নিয়েও উদ্বিগ্ন। কারণ অনেক প্রকাশকের কাছেই এমন বই রয়েছে যেগুলো ‘ইসলাম ধর্মবিরোধী’ বলে চিহ্নিত হতে পারে।
এসব বইয়ের প্রকাশকরা এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।
চট্টগ্রামের একজন প্রকাশক জামাল উদ্দিন বলেন , ‘লেখকের যেমন স্বাধীনতা থাকবে, তেমনি প্রকাশকেরও স্বাধীনতা থাকতে হবে।’ আজ সোমবার কয়েক ঘন্টা দোকান বন্ধ রেখে তারা সে বিষয়টি বোঝাতে চান বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বিবিসি