মিসরে দুর্ঘটনায় পড়া রাশিয়ার বিমানটি মাঝ আকাশেই ভেঙ্গে পড়ে বলে দেশটির ইন্টারস্টেট এভিয়েশন কমিটির তদন্ত কর্মকর্তা ভিক্টর সরোশেঙ্কো গতকাল রবিবার বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে এ কথা জানান। তবে বিমানটি কি কারণে বিধ্বস্ত হয়েছে সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল আল সিসি এ বিষয়ে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন। এদিকে নিহত ২২৪ আরোহীর অধিকাংশের লাশ দেশে আনা হয়েছে।
সরোশেঙ্কো বলেন, বিমানটির ধ্বংসাবশেষ বিস্তীর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ায় মনে া হচ্ছে এটি মাঝ আকাশেই ভেঙ্গে পড়েছে। দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে চূড়ান্ত কিছু বলার সময় এখনো আসেনি। তবে তদন্তকারীরা বিমানটির ব্লাকবক্স উদ্ধার করেছে। এর পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ চলছে।
অপরদিকে উদ্ধারকারী দল এ পর্যন্ত ১৬৮টি লাশ উদ্ধার করেছে। এর মধ্যে ৮ কিলোমিটার দূর থেকে ৩ বছর বয়সী একটি কন্যা শিশুর লাশও উদ্ধার করা হয়। বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় রবিবার রাশিয়ায় একদিনের জাতীয় শোক পালন করা হয়। কারণ বিমান আরোহীর অধিকাংশই ছিলো রাশিয়ান। কায়রো বলছে, ২২৪ আরোহীর মধ্যে ২১৪ রাশিয়ান এবং ৩ জন ইউক্রেনের। বাকী ৭ জন ছিল ক্রু।
অন্যদিকে আইএস জঙ্গী সংগঠনের মিসরীয় শাখা বিমানটি ভূপাতিত করার দাবি করলেও মিসর ও মস্কো উভয় দেশই তা প্রত্যাখ্যান করেছে। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা দুর্ঘটনার অন্যান্য কারণ খতিয়ে দেখছে। তারা বলছে, মানবিক অথবা কারিগরি ত্রুটির কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে থাকতে পারে। প্রসঙ্গত বিমানটি লোহিত সাগর তীরবর্তী অবকাশ কেন্দ্র শার্ম-আল শেখ থেকে সেইন্ট পিটার্সবুর্গে যাওয়ার পথে শনিবার সিনাই বদ্বীপ এলাকায় বিধ্বস্ত হয়।