ছোটা রাজনকে আগামী বুধবারই দেশে ফেরানো হতে পারে। এমনটাই সূত্রের খবর। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির একটি প্রতিনিধি দল রাজনকে নিয়ে আসতে রবিবার বালি পৌঁছেছেন। গত সপ্তাহে বালি বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেফতার করেছিল ইন্দোনেশিয়ার পুলিশ। সূত্রের খবর, রাজনকে প্রথমে দিল্লি নিয়ে আসা হতে পারে। গোয়েন্দাদের ওই দলে থাকা সিবিআই, মুম্বই ও দিল্লি পুলিশের অফিসারেরা ও-দেশের জেলে গিয়ে রাজনের সঙ্গে দেখা করেছেন। ওই মাফিয়া ডনকে ফেরাতে মহারাষ্ট্রের দেওয়া নথিই ইংরেজি ও বাহাসা ভাষায় অনুবাদ করে ইন্দোনেশিয়া পুলিশকে দেওয়া হয়েছে।
বালিতে তার নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত দুর্বল এবং সেই কারণে তিনি ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করার দাবি জানিয়েছিলেন। ভারতীয় দূতাবাসকে লেখা চিঠিতে খুন হওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। ভারতীয় দূতাবাসের তরফে সঞ্জীব অগ্রবাল এর পরই জাকার্তা থেকে বালি পৌঁছন। রবিবার তিনি রাজনের সঙ্গে প্রায় ৪৫ মিনিট কথা বলেন।
গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই রাজনের ভাগ্য নিয়ে জল্পনা হয়েছে বিস্তর। ভারতীয় গোয়েন্দারা তাঁকে দাউদ ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতেন বলেও মনে করে কোনও কোনও শিবির। অনেক প্রাক্তন পুলিশ ও গোয়েন্দা কর্তার মতে, দাউদের অনুচরদের হাতে খুন হওয়ার আশঙ্কাতেই রাজন আত্মসমর্পণ করেছেন। ছোটা শাকিল সম্প্রতি জানিয়েছে, তারা অস্ট্রেলিয়ায় রাজনকে খুন করার চেষ্টা করেছিল। গ্রেফতার হওয়ার পরেও রাজনকে খুন করার চেষ্টা থামবে না বলে হুমকি দিয়েছে দাউদ-বাহিনী।
দাউদের প্রাক্তন সহযোগী রাজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ সবচেয়ে বেশি মহারাষ্ট্রে। অভিযোগের সংখ্যা প্রায় ৭৫ বলে জানিয়েছে মুম্বই পুলিশ।
সূত্র: আনন্দবাজার