তুরস্কের নির্বাচনে প্রত্যাশার চাইতেও ভালো ফলাফল করেছে প্রেসিডেন্ট রেসিপ তায়েপ এরদোয়ানের দল। গতকাল রবিবারের পার্লামেন্ট নির্বাচনে তার দল জাস্টিজ এন্ড ডেভলপমেন্ট পার্টি বা একে পার্টি ৫০ শতাংশ ভোট পেয়েছে বলে বিবিসি ও রয়টার্স জানিয়েছে। একে গণতন্ত্রের জয় হিসেবে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী আহমেত দাভুতোগলু। নির্বাচনে ক্ষমতাসীন একে পার্টি পেয়েছে ৪৯ দশমিক ৪ ভাগ ভোট। আর আসন সংখ্যা পেয়েছে মোট ৩১৬টি। এককভাবে সরকার গঠন করার জন্য একে পার্টির প্রয়োজন ছিল মাত্র ২৭৬টি আসন। তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি) পেয়েছে ২৫ দশমিক ৪ ভাগ ভোট। নির্বাচনে ১১ দশমিক ৯ ভাগ ভোট পেয়েছে ডানপন্থি ন্যাশনালিস্ট অ্যাকশন পার্টি এবং ১০ দশমিক ৭ ভাগ ভোট পেয়েছে বামপন্থি পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (এইচডিপি)। নির্বাচনে প্রায় সব ভোট গণনাই শেষ হয়েছে।
তুরস্কের নির্বাচনে একে পার্টির নিরঙ্কুশ জয়
একে পার্টির এমপি রাভজা কাভাকচি বলেছেন, তুরস্ক বদলে গেছে। বর্তমান প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান-এর সময়ে তুরস্ক এমনই পাল্টে গেছে যে, আমরা এখন এমন সব ইস্যু যেমন- ব্যক্তির বাকস্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ইত্যাদি নিয়ে কথা বলি যা কখনেই সম্ভব হতো না।
গত বেশ কিছুদিন ধরেই তুরস্কে চলছে সহিংসতা, হামলা, পাল্টা হামলা। সহিংসতা ও বর্তমান অস্থির রাজনৈতিক অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে মানুষ আবার একে পার্টির উপরেই আস্থা রেখেছে।
জুনের নির্বাচনের পর থেকেই টার্কিশ আর্মি ও কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি বা পিকেকে-এর মধ্যে যুদ্ধ বিরতি চলছে।
অভিযোগ রয়েছে, একে পার্টির প্রতিষ্ঠাতা রেচেপ তাইয়েপ এরদোয়ান যিনি এখন তুরস্কের বর্তমান প্রেসিডেন্ট, তিনি তুরস্কে সহিংসতাকে উস্কে দিয়েছিলেন পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি বা এইচডিপির পক্ষে জনসমর্থন আদায়ের জন্য।
জুনের নির্বাচনের পর, এইচডিপি-কে একে পার্টি সরকার গঠনের কথা ভেবে কোয়ালিশন হিসেবে নিয়েছিল।
প্রসঙ্গত, গত মাঁচ মাসের মধ্যে তুরস্কে রবিবার দ্বিতীয়বারের মতো ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে প্রেসিডেন্ট রেসেপ তায়েপ এরদোয়ানের একে পার্টি পার্লামেন্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর পর গত গত জুনে দেশটিতে নির্বাচন হয়েছিল। গত ১৩ বছরের মধ্যে সেটিই ছিল তুরস্কের প্রথম নির্বাচন।