একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আটক জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনে আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন ২৮ মার্চ পুনর্নির্ধারণ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার কাদের মোল্লার আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন খানের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ সময় নির্ধারণ করেন বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বে ২ সদস্যের ট্রাইব্যুনাল।
এর আগে ১৪ মার্চ অভিযোগ গঠনে যুক্তিতর্ক শেষ করেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিরা। সেদিনই আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের জন্য ২১ মার্চ সময় নির্ধারণ করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল। কিন্তু আসামিপক্ষ আরো সময় প্রয়োজন বলে জানান।
৮ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি পিছিয়ে ১৩ মার্চ করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মোহাম্মদ আলী ওইদিন ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হলে কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে শুনানি মুলতবির আরজি জানান।
তিনি বলেন, অভিযোগ গঠনের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপনের প্রস্তুতির জন্য সময় প্রয়োজন।
পরে ১৩ মার্চ আবারও শুনানি পিছিয়ে ১৪ মার্চ করেন ট্রাইব্যুনাল।
মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ২৮ ডিসেম্বর কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। ১৮ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উপস্থাপন করা হয়।
২০১০ সালের ১৩ জুলাই ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে আবদুল কাদের মোল্লাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে একই বছরের ২ আগস্ট তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতার দেখানো হয়।
বর্তমানে গাজীপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন কাদের মোল্লা।
উল্লেখ্য, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কাজ শুরু করার পর এ পর্যন্ত জামায়াতের সাবেক আমীর গোলাম আযম ও বর্তমান শীর্ষ পাঁচ নেতা ও বিএনপির দু’নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে শুধু জামায়াত নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
বিএনপি নেতা আবদুল আলীম শর্তসাপেক্ষে জামিনে থাকলেও বাকি ৭ জন কারাগারে আটক আছেন।