আজ রবিবার থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামে সিএনজিচালিত অটোরিকশার বর্ধিত ভাড়া কার্যকর হচ্ছে। প্রথম ২ কিলোমিটারের জন্য ভাড়া ঠিক করা হয়েছে ৪০ টাকা, যা আগে ২৫ টাকা ছিল।
নিয়ম অনুযায়ী অটোরিকশায় উঠলে এটাই সর্বনিম্ন ভাড়া হওয়ার কথা, যদিও ওই ভাড়া বা ওই দূরত্বে যেতে কখনেই রাজি হন না চালকরা। বর্ধিত ভাড়া হিসেবে এবার প্রথম ২ কিলোমিটারের পরে প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ৭ টাকা ৬৪ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১২ টাকা করা হয়েছে। যানজট বা অন্য কোনো কারণে আটকে থাকলে প্রতি মিনিট বিরতির জন্য যাত্রীকে গুনতে হবে ২ টাকা করে, আগে যা ছিল ১ টাকা ৪ পয়সা।
ভাড়া বাড়ানোর সঙ্গে বাড়ছে চালকদের জন্য দৈনিক জমার পরিমাণও। মালিকের জমা বাবদ ১ নভেম্বর থেকে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৯০০ টাকা করে দিতে হবে চালককে, যা এত দিন ছিল ৬০০ টাকা।
ভাড়া বাড়ানোর পরও চালকরা মিটারে যেতে রাজি হবেন কিনা সে বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। কারণ ‘মালিক বেশি জমা আদায় করেন এবং যানজটের মধ্যে মিটারে গেলে পোষায় না’-এই যুক্তিতে নিজেদের ইচ্ছামাফিক ভাড়া যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করে থাকেন চালকরা। উপায়হীন যাত্রীরাও মিটারে ওঠা ভাড়ার দ্বিগুণ-তিনগুণ টাকা খরচ করে অটোরিকশায় চড়তে বাধ্য হন।
এই নৈরাজ্য নিয়ে খোদ সড়ক পরিবহনমন্ত্রী একাধিকবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু সরকারের কোনো নির্দেশনা কাজে আসেনি।
২০০২ সালে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালু হওয়ার পর ৫ বার সরকার ভাড়া বাড়ালেও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ করতে পারেনি। অটোরিকশা নীতিমালা-২০০৭ অনুযায়ী নির্ধারিত স্ট্যান্ডে অবস্থানকালে কোনো সিএনজি বা পেট্রোলচালিত থ্রি হুইলারের চালক স্বল্প দূরত্বসহ সরকার নির্ধারিত এলাকার মধ্যে যেকোনো দূরত্বে যেতে বাধ্য থাকলেও বাস্তবে রাজধানীর কোনো সিএনজি অটোরিকশা চালকই স্বল্প দূরত্বে এবং যাত্রীদের চাহিদামতো গন্তব্যে যেতে চান না।
বিআরটিএ সূত্র জানিয়েছে, ১ নভেম্বর থেকে অটোরিকশার ভাড়া বাড়ার পর কেউ যাতে অতিরিক্ত ভাড়া না নিতে পারে এবং চালকরা যাতে মিটারে চলেন সেজন্য কড়া নজরদারি থাকবে।