দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কোনো অবনতি হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। সব দেশেই এ রকম বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে থাকে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, যারা জড়িত থাকুক না কেন আমরা খুঁজে বের করব। আজ রবিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে এসব ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। আনসারুল্লাহ, জেএমবি বা আইএস যারা এটা করুক না কেন তারা যুদ্ধাপরাধী বা জামায়াত-শিবিরের লোক। আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবশ্যই ভাল। সব দেশেই এ রকম বিচ্ছিন ঘটনা ঘটে থাকে। দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে ঘটনাগুলো ঘটানো হচ্ছে। প্রত্যেকটি ঘটনাতে সন্দেহভাজনদের গ্রেফতার করা হচ্ছে এবং হবে।
মন্ত্রী বলেন, একটা ঘটনা ঘটেছে। সবাই কাজ করছে। কে কি উদ্দেশ্যে করেছে, আমরা ঠিকই ধরে ফেলব। পুলিশ ও গোয়েন্দারা কাজ করছে। এখনো রিপোর্ট পাইনি, পেলে আপনাদের জানাব। তিনি বলেন, ‘দুটি ঘটনাস্থলের মার্কেট সাপ্তাহিক বন্ধ ছিল। আজিজ মার্কেটে এ সুযোগ কাজে লাগিয়েছে খুনীরা। হত্যা করে তালা মেরে চলে গেছে। লালমাটিয়াতেও একই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
সাম্প্রতিক অন্যান্য হত্যাকাণ্ডের তদন্তের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সব সন্দেহভাজনদের আমরা শনাক্ত করেছি, ধরেছি। আমরা বাকিদের ধরার চেষ্টা করছি। নিরাপত্তার জন্য বাসা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সিসি ক্যামেরা বসানোর বিষয়ে আসাদুজ্জামান বলেন, একটা সিসি ক্যামেরার দামতো বেশি নয়। আপনারা দেখেছেন, গতকাল যে দুটি জায়গায় ঘটনা ঘটেছে সেখানে কোনো সিসি ক্যামেরা ছিল না। বাসা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সিসি ক্যামেরা বসাতে আমরা সবাইকে বারবার অনুরোধ করেছি।
গতকাল শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে লালমাটিয়ায় প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান শুদ্ধস্বরের কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়। সেখান থেকে প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার আহমেদুর রশীদ টুটুলসহ ৩ জনকে হাসপাতালে নিয়ে যখন চিকিৎসা চলছিল, তখন জানা যায় শাহবাগে আজিজ কো-অপারেটিভ সুপার মার্কেটে আরেক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান জাগৃতির কার্যালয়ের ভেতরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার ফয়সাল আরেফিন দীপন। দুটি ক্ষেত্রেই হামলার পর কার্যালয়ের দরজায় তালা ঝুলিয়ে দিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।