হবিগঞ্জে ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলা মামলায় জেএমবি নেতা সাইদুর রহমানসহ ৫ আসামিকে বুধবার যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ-১ ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-৩ ফারুক আহমেদের আদালতে হাজির করা হয়।
দুপুর ১২টায় কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাদের আদালত চত্বরে নিয়ে আসে পুলিশ।
আসামিদের মধ্যে জেএমবিপ্রধান সাইদুর রহমান, তার ছেলে এএইচএম শামীম, ওবায়দুল্লাহ সুমন ও বেলাল আহমেদকে হবিগঞ্জ কারাগার এবং সালাহ উদ্দিনকে জয়পুরহাট কারাগার থেকে আনা হয়।
আদালতে আসামি সালাহ উদ্দিনের পক্ষে আইনজীবী শ্যামল কুমার চৌধুরী জামিন আবেদন করলে আদালত তা না-মঞ্জুর করেন।
এ ছাড়া মামলার অপর দুই আসামি সালেহীন ওরফে রাজীব ওরফে তাওহীদ কাসিমপুর কারাগারে এবং আব্দুল আজিজ সিলেট কারাগারে রয়েছেন।
তাদের অনুপস্থিতিতে সাক্ষ্যগ্রহণ সম্ভব না হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এম আকবর হোসেন জিতুর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক ২৬ এপ্রিল মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন শফিকুর রহমান চৌধুরী।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে ১৭ আগস্ট সারাদেশের ন্যায় হবিগঞ্জের ৫টি স্থানে ৭টি বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ৫টি মামলা দায়ের করে।
ওই মামলায় জেএমবির তৎকালীন অর্থ যোগানদাতা মাওলানা সাইদুর রহমানের ছেলে জেএমবির আইটি বিভাগের প্রধান এএইচএম শামীম, চাপাইনবাবগঞ্জের জাকারিয়া জুয়েল, রংপুরের নুরুল আজম সিদ্দিকী ও তার স্ত্রী আলেয়া ফেরদৌসী, টাঙ্গাইলের আকরামুজ্জামান এবং বেলাল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।
দায়ের করা ৫টি মামলার তদন্ত শেষে জেএমবি তৎকালীন প্রধান হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার খোঁজারগাঁও গ্রামের মাওলানা সাইদুর রহমান, তার ছেলে এএইচএম শামীমসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে পৃথক তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
পরে মামলাগুলো ২০১০ সনের আগস্টে হবিগঞ্জ বিশেষ ট্রাইব্যুন্যাল আদালত থেকে সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যালে স্থানান্তর করা হয়।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিচারকাজ শেষ না হওয়ায় মামলাগুলো পুনরায় হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়।