দুঃখটা রয়েছে। থাকবে। বিদায়ী টেস্ট খেলার সুযোগ না পাওয়ার। টেস্টে আরও রান না করতে পারার। দুঃখটা, সদ্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়া বীরেন্দ্র সেবাগের।
একটি টিভি অনুষ্ঠানে সহবাগ বলেছেন, ‘যদি নির্বাচকরা আমায় ছেঁটে ফেলার ব্যাপারটা আগে জানাতেন তা হলে দিল্লিতে শেষ টেস্ট খেলার অনুরোধ করতাম। তার পর অবসর নিতাম। কিন্ত সেই সুযোগটাই দেওয়া হল না।’ সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘এই দুঃখ সব সময় থাকবে যে, আমায় খেলতে খেলতে বিদায় নিতে দেওয়া হল না। যাই হোক, খেলোয়াড়দের জীবনের এটা অন্যতম অঙ্গ। খেলতে খেলতে কেউ বুঝতে পারে না কখন অবসর নিতে হবে। বাদ পড়ার পরই অবসরের চিন্তাটা আসতে শুরু করে।’
এর পরই দিল্লির মারকাটারি ব্যাটসম্যান প্রশ্ন ছুড়ে দেন, ‘১২-১৩ বছর দেশের প্রতিনিধিত্ব করা প্লেয়ার কি একটা বিদায়ী ম্যাচও পেতে পারে না?’ দিল্লিতে ৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্টে তাকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়ার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে নজফগড়ের নবাব বলেন, ‘যদি তাই হয় তা হলে ভাল। যদি বোর্ড আয়োজন না করতে পারে অন্তত ডিডিসিএ-র করা উচিত।’ পাশাপাশি প্লেয়ার নির্বাচনের ব্যাপারে নির্দিষ্ট কতগুলো জায়গা থাকা উচিত বলে মনে করেন সহবাগ। ‘যদি কোনও প্লেয়ার ৫-৬টা ম্যাচে পারফর্ম করতে না পারে তা হলে তাকে বাদ দেওয়া উচিত। তা সে জুনিয়র হোক বা সিনিয়র।’
আগেই বলেছেন, ইচ্ছে থাকলেও ২০০৭-এ সচিন টেন্ডুলকরের কথা শুনে অবসর নিতে পারেননি। এ দিনও কথা প্রসঙ্গে মাইকেল ক্লার্ককে নিয়ে একটা ঘটনার কথা বলেন সেবাগ। ‘অস্ট্রেলিয়ায় আমি আর সচিন ব্যাট করছি। ক্লার্ক তখন টেস্টে সদ্য এসেছে। মাঠে বলতে শুরু করল তুমি বুড়ো হয়ে গেছ, ফিল্ডিং করতে পার না, এটা পারবে না, ওটা পারবে না। আমি ক্লার্কের কাছে গিয়ে ওর বয়স কত জানতে চাইলাম। বলল, ২৩। তখন আমি বললাম তোমার বয়সের থেকে বেশি সেঞ্চুরি আছে সচিনের।’
আরও একটা আক্ষেপ রয়েছে সেবাগের। টেস্টে ১০ হাজার রান করার সুযোগ না পাওয়ার। ‘পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত আর দুটো টেস্ট খেললে আমি ১০ হাজার রান পুরো করে ফেলতে পারতাম। টেস্টে ৮,৫৮৬ রান রয়েছে আমার। ২০০৬ থেকে আমরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দেশে বা দেশের বাইরে খেলা বন্ধ করে দিয়েছি। আমার ব্যাটিং গড়, বিশেষ করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে, লক্ষ্য করলে দেখা যাবে সেটা ৯০ বা ১০০।’
সূত্র: আনন্দবাজার