‘বহির্বিশ্বে বাংলাদেশি জাহাজ নির্মাণ শিল্পের প্রচারণা চালানো হবে’

‘বহির্বিশ্বে বাংলাদেশি জাহাজ নির্মাণ শিল্পের প্রচারণা চালানো হবে’

অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশি জাহাজ নির্মাণ শিল্পের ইতিবাচক ইমেজ প্রচারণা চালানো হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী জিএম কাদের।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্পের একটি ইতিহাস আছে। আমাদের এই ইতিহাস, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং দক্ষতা কাজে লাগিয়ে নিজেদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি করে এগিয়ে যেতে হবে। সে ব্যাপারে সরকার বহির্বিশ্বের বাজার দখল করতে প্রচারণা চালাবে।

বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম বোট ক্লাবের হল রুমে জাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইর্য়াড’র জার্মানির গ্রোনা শিপিং’র কাছে জাহাজ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী জি এম কাদের বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান তাদের উন্নত মানের পণ্য রপ্তানি করে দেশের অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রেখেছে। যা দেশের তারল্য সংকট নিরসনেও ভ’মিকা রাখছে।

তিনি বলেন, শিল্পের উৎপাদনে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের দরকার। বর্তমান সরকার এসবের মধ্যে ভারসাম্য রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে। আগামী বাজেট প্রণয়ণের সময় শিল্প কারখানা তথা জাহাজ নির্মাণের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর আরিফুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ডাচ রাষ্ট্রদূত এলফনস হেনিক্যানস, এফবিসিআইএ’র সভাপতি একে আজাদ, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেযারম্যান মি. সুভাষিশ বোস এবং জার্মান ডেপুটি হেড অব মিশন ড. র‌্যাল্ফ রিউস।

এফবিসিসিআই সভাপতি একে আজাদ বলেন, বাংলাদেশ আগে জাহাজ ভাঙা শিল্পের জন্য পরিচিত ছিল। কিন্তু এখন জাহাজ তৈরির ক্ষেত্রেও বিশেষ অবদান রাখছে। পরিচিত হচ্ছে জাহাজ তৈরির দেশ হিসেবে। এক্ষেত্রে ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডই অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। এজন্য স্বাগত জানাই সংশ্লিষ্ট সবাইকে।

জার্মানির গ্রোনা শিপিং’র কাছে প্রতিষ্ঠানটির চতুর্থ জোড়া জাহাজ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে শিল্প মালিকরা ভালো কিছু করতে চাইলে সরকারের সাপোর্ট দেওয়া দরকার। সরকারকে আগামী বাজেটে এ শিল্পের জন্য ১০ শতাংশ বরাদ্ধ রাখার আহ্বান জানান।

ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, ওয়েস্টার্ন মেরিন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশের প্রথম সারির রফতানিকারক হিসেবে রাজস্বে বিরাট অবদান রাখেছে। বর্তমানে এ শিপইয়ার্ডে দেশি-বিদেশি অনেকগুলো জাহাজ নিমার্ণের কার্যাদেশও আছে।

ওয়েস্টার্ন মেরিন তাদের গুনগতমান ও কাজ দিয়ে দেশি-বিদেশি ক্রেতাদের সন্তুষ্টি অর্জন করে আন্তর্জাতিক বাজারে সুনাম এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। যা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

প্রসঙ্গত, এর আগে জার্মানীর গ্রোনা শিপিং এর কাছে ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইর্য়াড আরও ৬টি জাহাজ হস্তান্তর করেছে।

অনুষ্ঠানে ওয়েস্টার্ন শিপইর্য়াডের অর্থনৈতিক সহযোগী ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেহমুদ হোসাইন, ইউরোপিয় কমার্স ব্যাংকের ওলাফ মালাও, ক্রেতা প্রতিষ্ঠান প্রধান মারকু ভ্যাদার এবং ওয়েস্টার্ন মেরিনের ইউরোপিয় প্রতিনিধি ইস্ট উইন্ড হ্যামবার্গ এবং ক্লাশিফিকেশন সোসাইটি জার্মানিশার লয়েডের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

অর্থ বাণিজ্য রাজনীতি