ব্লগার ও লেখকদের উপর একের পর এক হামলার ঘটনায় অনিরাপদ হয়ে উঠছে মুক্তমনা লেখকদের চিন্তার জগত। একইসঙ্গে বিচারহীনতার সংস্কৃতি ধারাবাহিকভাবে তাদের মননশীলতার জগতকে সীমাবদ্ধ করছে বলেও মনে করেন লেখকরা।
এদিকে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, এ ধরনের ঘটনার কারণে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি জনগণের অনাস্থা সৃষ্টি হতে পারে
২০১৩ সালে ব্লগার হত্যার মধ্য দিয়ে মুক্তচিন্তার জগতকে প্রথম আঘাত করা হয়। এরপর থেমে থেমেই চলেছে এ ধরনের হামলা। শুরুতে ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিনকে আহত করা হলেও এক মাসের মধ্যেই হত্যা করা হয় রাজিব হায়দারকেও।
এরপর বেশ কিছু হামলার ঘটনা ঘটলেও চলতি বছরে তা আরো বাড়তে থাকে। গত ফেব্রুয়ারিতে খুন করা হয় অভিজিৎ রায়কে। এরপর হত্যা করা হয় ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান বাবুকে। ব্লগার অনন্ত বিজয় দাসকে। ব্লগার নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায়কে এবং সর্বশেষ রাজধানীর আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতি প্রকাশনীর কর্ণধার ফয়সাল আরেফিন দীপনকে। হামলা আতঙ্কে ব্লগার এবং লেখকদের চিন্তাজগত সীমাবদ্ধ হয়ে পড়বে বলে মনে করেন মুক্তচিন্তার ধারকরা।
লেখক আহম্মদ মাযহার বলেন, “যারা চিন্তাশীল মানুষ তারা যদি তাদের চিন্তাকে প্রকাশ করতে না পারে তাহলে একসময় এর একটা সুদূরপ্রসারী প্রভাব দেশের ওপর পরবে। সরকার যদি মনে করেন বিপক্ষ শক্তি এগুলো করে তাদেরকে হেয় করার চেষ্টা করছে তাহলে সরকার সেটা আইনগতভাবে প্রতিরোধ করবেন।”
একের পর এক হামলার পরপরই নতুনভাবে আলোচনায় আসে এই হত্যাকাণ্ডগুলোর সর্বশেষ বিচারিক প্রক্রিয়া। আর এ ধরনের ঘটনার সুরাহা না হওয়ায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি জনগণের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক তারেক শামসুর রেহমান।
বিদেশে পাড়ি জমানো নয়, অসত্যের বিরুদ্ধে লড়াই ঘোষণা করেই মুক্তচিন্তার জগতকে আরো বিস্তৃত করতে হবে বলে মনে করেন লেখকরা।