চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ অনার্স ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামীকাল রবিবার থেকে। বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে ‘এ’ ইউনিটের এবং ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি এ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেসের অধীনে ‘জে’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তিযুদ্ধ শুরু হবে। ভর্তি পরীক্ষা চলবে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত। ভর্তি পরীক্ষাকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষা সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সোয়া ১২টা পর্যন্ত এবং ‘জে’ ইউনিটের পরীক্ষা দুপুর আড়াইটা থেকে বিকেল সোয়া ৪টা পর্যন্ত চলবে।
‘এ’ ইউনিটে ৫৪৬টি আসনের বিপরীতে আবেদন পড়েছে ২৫ হাজার ৭৬৬টি এবং ‘জে’ ইউনিটে ৮৫টি আসনের বিপরীতে আবেদন পড়েছে ৪ হাজার ৫১৪টি।
এদিকে ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে পরীক্ষা চলাকালে র্যাব, পুলিশ ও ডিএসবিসহ ক্যাম্পাসে ৩৫০ জন পুলিশসহ বেশ কয়েকটি মোবাইল টিম দায়িত্ব পালন করবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোহাম্মদ আলী আজগর চৌধুরী।
চবির ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ অনার্স ভর্তি পরীক্ষায় সর্বমোট ৪ হাজার ৬৫৩টি আসনের বিপরীতে আবেদন পড়েছে ২ লাখ ১১ হাজার ৯৫২টি। সে হিসাবে প্রতি আসনের বিপরীতে ৪৬ শিক্ষার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে ইঞ্জিনিয়ারিং (জি-ইউনিট) ও আইন অনুষদে (ই-ইউনিট)। ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদে ১২৮টি আসনের বিপরীতে আবদেন পড়েছে ২৩ হাজার ৪৪৪টি এবং আইন অনুষদে ১৩০টি আসনের বিপরীতে আবেদন পড়েছে ১৬ হাজার ৪১১টি। এ বছর ফরম বিক্রি বাবদ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাগারে জমা হয়েছে ১০ কোটি ৬ লাখ ৭৭ হাজার ২০০ শত টাকা।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে চট্টগ্রাম শহরে ৪টি কলেজ ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ক্যাম্পাসের বাইরের কেন্দ্রগুলো হলো- হাটহাজারী কলেজ, বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি (বায়জিদ), প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি ও এনায়েত বাজার মহিলা কলেজ ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটির সচিব ও একাডেমিক শাখার প্রধান এস এম আকবর হোসাইন বলেন, ‘আগামী রবিবার থেকে শুরু হওয়া ভর্তি পরীক্ষাকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। আগের ভর্তি পরীক্ষার মতো এবারও ক্যালকুলেটর, মোবাইল ফোন বা টেলিযোগাযোগ করা যায় এমন কোনো ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস/যন্ত্র নিয়ে হলে প্রবেশ করতে শিক্ষার্থীদের নিষেধ করা হয়েছে। আশা করি কোনো রকমের অনিয়ম ছাড়াই ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হবে।
ভর্তিচ্ছুসহ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বোটানিক্যাল গার্ডেন, ফরেস্ট্রি হেলিপ্যাড, প্যাগোডা ও ঝর্ণা সংলগ্ন এলাকাসহ বেশ কিছু নির্জন স্থানে যাতায়ত নিষিদ্ধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ক্যাম্পাসে বহিরাগত কেউ যাতে প্রবেশ করতে না পারে সে লক্ষে ২ নং গেটও বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও ক্যাম্পাসে মোটরবাইক চলাচলের উপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।