জাহাঙ্গীরনগর নিয়ে কিছু তিতা-মিঠা

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পদার্থবিজ্ঞান কিংবা রসায়নে আমাদের শিক্ষকদের অসাধারন গবেষণা কিংবা অবদান কিছু মানুষ মনে রাখেননা। তারা মনে রাখেননা যেই ১১ জন খেলোয়াড় (জাতীয় ক্রিকেট দল) তাদের উৎসবের কারন তাদের পুরোধা চারজন জাহাঙ্গীরনগরেরই সন্তান মাশরাফি বিন মর্তুজা, মুশফিকুর রহীম, মঞ্জুরুল ইসলাম, সাব্বির রহমানরা। তারা sdgdasgdsagfdgমনে রাখেননা টিভি পর্দা খুলে নির্মল বিনোদনের পুরোধা (অভিনেতা-অভিনেত্রী) হুমায়ন ফরীদি, ফারুক আহমেদ, শহিদুজ্জামান সেলিম, মম, বিন্দু, মিম, শিমু, মাজনুন মিজান, সজল, পার্থ, বাঁধন, মিলিরা আমাদেরই পরিবারের একজন। তারা মনে রাখেননা আমাদের মুক্তমঞ্চের কালজয়ী সব আয়োজন কিংবা নাট্যাচার্য সেলিম আল দীনের ‘হাত হদাই’। তারা মনে রাখেননা আফসার স্যারের চিত্রনাট্য কিংবা প্রতœতত্বের সুফি শাহ্নেওয়াজ ভাইয়ের কবিতা কিংবা রায়হান রাইন স্যারের লেখা।
তারা মনে রাখেননা শহিদুজ্জামান সেলিম, লুসি তৃপ্তি গোমেজ কিংবা অনুপ আইচের নাট্যনির্দেশনা। তারা মনে রাখেননা ড্রোন আবিষ্কার কিংবা সবচেয়ে বড় মাশরুম জাত উৎপাদনের খবর। তারা খোঁজ রাখেননা এশিয়ার বৃহৎ বিজ্ঞান গবেষণাগার কিংবা একমাত্র বন্যপ্রাণী সংরক্ষণাগার কিংবা প্রজাপতি মেলা কিংবা পাখি মেলা কিংবা দেশের একমাত্র সফটওয়্যার পরীক্ষাগারের। তারা মনে রাখেননা আনু স্যার কিংবা মানস স্যার কিংবা জাতীয় অধ্যাপক আহসান স্যার কিংবা জিল্লুর স্যার বা আখলাখ স্যার এর অবদান।কিংবা সবুর খানের মত উদ্যোক্তাদের কথা।আরো অগনিত জাহাঙ্গীরনগরীয়ান যারা প্রতিনিয়ত বিশ্বের বুকে দেশের লাল সবুজ পতাকা তুলে ধরছেন।
তারা মনে রাখেন মানিকের কথা।ওই একটা বিষয়ই যে তাদের ক্ষোভ ঝাড়বার মোক্ষম অস্ত্র।স্বল্প আসনসংখ্যার দরুণ প্রকৃতির কোলে মানবসৃষ্ট এই অপরুপ বিদ্যাপীঠের অংশ না হতে পেরে ক্ষোভ উগলানোর জন্য মানিকই যে তাদের তুরুপের তাস।কিংবা সেই রাজনৈতিক সংগঠন যারা ২৬ বছরেও শিরদাঁড়া সোজা করতে পারেনি সাম্প্রদায়িকতার বিষে নীল করতে এই ক্যাম্পাসকে তাদের অস্ত্র কেবল মানিক।তাহাদের মতে ইহা জঘন্য জায়গা,এখানে ছেলেরা লম্পট মেয়েরা খারাপ।ক্ষোভের বিষ ঢেলে তারা তাদের অপারগতার দীর্ঘ নিঃশ্বাস লুকিয়ে আবারো আবেদন করে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে।তাদের বদান্যতায় আর হলুদ সাংবাদিকতা কিংবা সোশ্যাল নেটওয়ার্ক এর কারনে প্রতি ভর্তিমৌসুমে আমরা খবরের ‘হটকেক’।যেখানে সত্যতা যাচাই ছাড়াই আমরা হই নন্দ ঘোষ আর পাপের গড়।তাহাদের সেলিব্রেটি খায়েশের পুর্নতায় চাপা পড়ে আমাদের অর্জন।
তবুও আমরা স্বাগত জানাই আপনাদের।আপনাদের বুকের কোণে চাপা ব্যাথাটা আমরা বুঝি।আমরা বুঝি শহীদ মিনারের চত্বরে, কিংবা টারজান, ডেইরি, ট্রান্সপোর্ট, লন্ডন ব্রিজ, সুইজ্যারল্যান্ড, সুইমিং, মহুয়াতল বা বটতলে আড্ডা দিতে না পারার দুঃখ। আমরা বুঝি সবুজের বুকে থেকে জাতীয় অর্জনগুলোর অংশীদার হতে না পেরে যে ব্যথারা ডামাঢোল বেজে চলে আপনাদের বুকে। আমরা বুঝি এখানে অসাম্প্রদায়িকতা কিংবা লিঙ্গবৈষম্যহীন সংস্কৃতির অংশ হতে না পেরে আপনাদের বুকে ব্যথার বীণ বড় বাজে। আমরা সে বীণের সুরে বড়ই আমোদিত হই। মুখ চেপে হাসি। নিন্দুক তুমি খেলে যাও আপন খেলা। নগণ্য কীট কি কখনো পারে বিশালতার এতটুকু নষ্ট করতে?

Featured বাংলাদেশ