দেশের অভ্যন্তরীণ টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরো শক্তিশালী করার লক্ষ্যে চলমান ব্যবস্থার উন্নয়নে উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। ফলে দেশের ভেতরে বিদ্যমান স্টেশনগুলোর উন্নয়নের লক্ষ্যে চলতি অর্থবছরে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা।
২০০৮ সালে ‘স্ট্রেনদেনিং দ্য রেগুলেটরি ক্যাপাসিটি অব বিটিআরসি’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের ‘টিসিআই ইন্টারন্যাশনাল ইনকরপোরেশন’এর কাছ থেকে তরঙ্গ পর্যবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য ৫০ লাখ ডলার ব্যয়ে ক্রয় করা হয়েছিল বিভিন্ন যন্ত্রপাতি।
বর্তমানে দেশব্যাপী ছয়টি স্থায়ী, পাঁচটি ভ্রাম্যমাণ এবং একটি স্থানান্তরযোগ্য পর্যবেক্ষণ স্টেশন ও তিনটি স্পেকট্রাম অ্যানালাইজারের মাধ্যমে বেতার তরঙ্গ পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। মূল কেন্দ্রীয় স্টেশনটি স্থাপন করা হয়েছে বিটিআরসির প্রধান কার্যালয়ে। আর বাকি ৫টি স্থায়ী স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে বিভাগীয় শহর চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, বগুড়া ও রংপুরে।
কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষণ স্টেশনের মাধ্যমে ২০ কিলোহার্টজ থেকে ৩ গিগাহার্টজ পর্যন্ত তরঙ্গ পর্যবেক্ষণ এবং এর উৎস শনাক্ত করা যায়। স্পেকট্রাম অ্যানালাইজারের মাধ্যমে ৯ কিলোহার্টজ থেকে ২৬ দশমিক ৫ গিগাহার্টজ পর্যন্ত তরঙ্গ পর্যবেক্ষণ সম্ভব। এছাড়া অন্য স্টেশনগুলোর মাধ্যমে ২০ মেগাহার্টজ থেকে ৩ গিগাহার্টজ পর্যন্ত তরঙ্গ শনাক্ত ও পর্যবেক্ষণ করতে পারে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম আরো শক্তিশালী করার লক্ষ্যে বিদ্যমান স্টেশনগুলোর কার্যক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি নতুন আরো স্থায়ী পর্যবেক্ষণ স্টেশন স্থাপনেরও পরিকল্পনা রয়েছে কমিশনের। প্রাথমিকভাবে বরিশাল, কক্সবাজার ও রাজশাহীতে নতুন তিনটি স্টেশন স্থাপনের সুপারিশ করেছে কমিশনের তরঙ্গ ব্যবস্থাপনা বিভাগ।