সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট গ্রুপের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তার জন্যে যুক্তরাষ্ট্র তার একটি বিশেষ বাহিনীর অন্তত ৫০ জন সেনাকে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে পাঠাতে যাচ্ছে। হোয়াইট হাউসের একজন মুখপাত্র আইএসের বিরুদ্ধে কুর্দি বিদ্রোহীদের লড়াইয়ের প্রশংসা করে বলেন, এ ধরনের শক্তিগুলোকে সহায়তার জন্যই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে সিরিয়ায় বিশেষ বাহিনী প্রেরণে যুক্তরাষ্ট্রের এ পরিকল্পনার কঠোর সমালোচনা করেছে রাশিয়া। রাশিয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরভ বলছেন, সিরিয়ায় মার্কিন সেনা পাঠানো হলে তা ওই অঞ্চলে স্নায়ুযুদ্ধের পরিস্থিতি সৃষ্টির ঝুঁকি তৈরি করবে। এদিকে সিরিয়া থেকে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে দামাস্কাসের কাছে বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা একটি শহরে বোমা হামলায় অন্তত ৮০ জন মারা গেছে। সিরিয়ার একটি মানবাধিকার সংস্থা বলছে সরকারি বাহিনীর মিসাইল হামলায় ওই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
সিরিয়ার গৃহযু্দ্ধে বিবদমান পক্ষগুলোকে যেসব দেশ সমর্থন দিয়ে আসছিলো তারা দেশটির সংকট সমাধানে একটি যুদ্ধবিরতির জন্যে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যদিও তারা দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের ভবিষ্যত প্রশ্নে একমত হতে পারেননি।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই লাভরভ বলেছেন সিরিয়ার জনগণই তাদের প্রেসিডেন্টের ভবিষ্যতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র ও তার সহযোগীরা বলছে আসাদের কার্যত কোনো ভূমিকা থাকতে পারে না।
ওদিকে সিরিয়ার সরকার ও বিরোধীদের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় নিয়ে আসতে জাতিসংঘকে আহবান জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে আবারও আলোচনায় বসবে দেশগুলো। সূত্র : বিবিসি বাংলা