আমেরিকার বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য তৈরি চিন

আমেরিকার বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য তৈরি চিন

বেইজিংয়ের তরফে স্পষ্টই জানিয়ে দেওয়া হল, আমেরিকার বিরুদ্ধে যে কোনও সময়ে যে 7কোনও রকম যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রয়েছে চিন। দক্ষিণ চিন সাগরে বেজিংয়ের বানানো কৃত্রিম দ্বীপপুঞ্জে মার্কিন রণতরী ঢুকে পড়লেও তাতে আদৌ ভয় পাচ্ছে না চিন। বেজিংয়ের তরফে বুঝিয়ে দেওয়া হল, আগ বাড়িয়ে যুদ্ধে নামার ইচ্ছা না-থাকলেও, ওয়াশিংটন এই ভাবে উস্কানি দিতে চাইলে, আমেরিকার বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামার জন্য তৈরি রয়েছে চিন।
কোনও চিনা কূটনীতিক বা বেজিংয়ে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির সদর দফতরের কোনও প্রথম সারির নেতা এ কথা না বললেও, বেজিংয়ের সরকার পরিচালিত সংবাদপত্র ‘গ্লোবাল টাইমস’-এর সম্পাদকীয়তে আজ এই কথাই লেখা হয়েছে।
বেজিংয়ের বানানো কৃত্রিম দ্বীপপুঞ্জে আরও মার্কিন ডেস্ট্রয়ার পাঠানো হচ্ছে বলে কাল জানিয়েছিল পেন্টাগন। বলা হয়েছিল, ওই মার্কিন ডেস্ট্রয়ারগুলিতে রাখা হচ্ছে টহলদারি বিমান। যেগুলি ওই ডেস্ট্রয়ারগুলি থেকে উড়ে গিয়ে দক্ষিণ চিন সাগরে বেজিংয়ের বানানো কৃত্রিম দ্বীপপুঞ্জে সুবি ও মিসচিফ রিজের মাঝামাঝি ও লাগোয়া এলাকাগুলির ওপর নজরদারি চালাবে। যেহেতু চিন ওই এলাকায় মার্কিন রণতরী ‘ইউএসএস-ল্যাসেন’ ঢুকে পড়ার পর আরও নৌবহর পাঠানো শুরু করেছে, তাই ওই মার্কিন ডেস্ট্রয়ারে টোমাহক ক্ষেপণাস্ত্রও রাখা হয়েছে বলে কাল জানিয়েছিল পেন্টাগন। এ-ও জানিয়েছিল, শিগগিরই আরও যে কয়েকটি মার্কিন রণতরী পাঠানো হচ্ছে দক্ষিণ চিন সাগরে, তাতে আরও বেশি সংখ্যায় রাখা হবে টোমাহক ক্ষেপণাস্ত্র।
এর পর আজ চিনের প্রতিক্রিয়া ছিল খুব স্বাভাবিক। আন্তর্জাতিক চাপের আশঙ্কায় যে প্রতিক্রিয়াটা এসেছে বেজিংয়ের সরকার পরিচালিত সংবাদপত্রের সম্পাদকীয়র মাধ্যমে।
যাতে লেখা হয়েছে, ‘ওয়াশিংটনের সঙ্গে আমাদের (চিনের) বিষয়টার ফয়সালা করতে হবে খুব বুদ্ধি করে। আবার যুদ্ধের মতো চরম পরিণতির জন্যও আমাদের তৈরি থাকতে হবে। এটা করলেই হোয়াইট হাউসকে বোঝানো সম্ভব হবে, আগ বাড়িয়ে দক্ষিণ চিন সাগরে কোনও যুদ্ধে নামার ইচ্ছা নেই বেজিংয়ের। তবে আমেরিকার বিরুদ্ধে কোনও সময়েই যুদ্ধে নামতে ভয় পায় না চিন।’
দক্ষিণ চিন সাগরে মার্কিন ডেস্ট্রয়ার পাঠানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওয়াশিংটনের সমালোচনায় সরব হয়েছে চিনা সেনাবাহিনীর দৈনিক ‘পিপলস রিপাবলিকান আর্মি ডেইলি’ও। তাদের প্রথম পাতার সম্পাদকীয়তে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘আমেরিকা এই ভাবেই যে কোনও জায়গায় যুদ্ধ শুরু করে। তবে আমেরিকা যেন দক্ষিণ চিন সাগরকে আরও একটা আফগানিস্তান বা ইরাক বলে মনে না করে!’
দক্ষিণ চিন সাগরে ‘জল-যুদ্ধে’র জন্য বেজিং কতটা তৈরি, চিনা সেনাবাহিনীর দৈনিকের সম্পাদকীয়তে তার স্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে।

Featured আন্তর্জাতিক