জাতীয় দলে নিয়মিত হলেও খেলার সৌভাগ্য হয় কদাচিৎ। রিজার্ভ বেঞ্চের নিয়মিত ক্রিকেটার তিনি। এক সময় ছিলেন প্র্যাকটিস ম্যাচের হিরো। বিসিবি একাদশের বিপক্ষে কোন বিদেশি দলের প্র্যাকটিস ম্যাচ থাকলে পেস বোলার নজমুল হোসেনকে ডাকা হতো। এখন তাকে জাতীয় দলের সঙ্গেই রাখা হয়। কিন্তু একাদশে থাকার সুযোগ হয় কালেভদ্রে। বিপদে পড়লে টিম ম্যানেজমেন্টের স্মরণে আসেন তিনি।
শফিউল ইসলামের ইনজুরিতে এশিয়া কাপে লিগের শেষ ম্যাচে খেলার সুযোগ হয় নাজমুলের। মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলতে নেমে এই স্লো মিডিয়াম পেসার তিন উইকেট নিয়েছেন। তাও প্রথম তিন ব্যাটসম্যানের হন্তারক। আট ওভারে ৩২ রান দিলেও তার স্পেলেই তো মাহেলা জয়াবর্ধনে, তিলকারত্নে দিলশান আর কুমার সাঙ্গাকারা সাজঘরে ফিরেছেন। এই তিনজন ২০ ওভার পর্যন্ত খেলতে পারলে শ্রীলঙ্কার রান অন্য উচ্চতা পেতো।
নাজমুল শেষ আন্তর্জাতিক ওয়ানডে খেলেছেন ২০১১ সালের ১৮ অক্টোবর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। আসলে একাদশের কেউ চোটাক্রান্ত হলে নাজমুলকে নেওয়া হয়। বিশ্বকাপের দলে থাকলেও একমাত্র তাকেই কোন ম্যাচে খেলানো হয়নি।
২০০৪ সালে অভিষেক হওয়ার পর এখন পর্যন্ত ৩৭টি ওয়ানডে খেলেছেন জাতীয় দলের এই পেসার। তাতে ১৭টিতে জয় আছে, (মঙ্গলবারের শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশ ম্যাচ বাদেই)। ২০০৪ সালে ভারতকে এবং ২০০৫ সালে কার্ডিফের যে ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে হারায় বাংলাদেশ, তার অংশ ছিলেন নাজমুল। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম সিরিজ জয়েও ছিলেন তিনি। ২০০৬ সালে বগুড়া শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে দেওয়ার পেছনে তারও অবদান ছিলো। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সিরিজ জয়ের শেষ ম্যাচটি খেলেছেন নাজমুল। নিউজিল্যান্ডকে ধবলধোলাইয়ের সিরিজেও খেলেছেন। কেবল ইংল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়ের ম্যাচে ছিলেন না।
জাতীয় দলের এই পেসারের আন্তর্জাতিক পারফরমেন্স খুব যে আহামরি না। ৩৬ ওয়ানডেতে পেয়েছেন ৪০ উইকেট। ইনিংসে সর্বাধিক তিন উইকেটের বেশি নিতে পারেননি।