দেশে প্যাথেডিনের সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ৩৫ টাকার প্যাথেডিন ইনজেকশন বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৪৫০ টাকায়। এতে বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে বেসরকারি হাসপাতালে আসা রোগীদের।
অস্ত্রোপচারে মূলত প্যাথেডিন ইনজেকশন ব্যবহার হয়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের তথ্য অনুসারে, দেশে প্যাথেডিনের কাঁচামালের চাহিদা বছরে প্রায় ৪৫০ কেজি। এর মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠান ইডিসিএল একাই ব্যবহার করছে ৩০০ কেজি। এছাড়া গণস্বাস্থ্যকেন্দ্র ব্যবহার করে ১২০ কেজি, পপুলার ফার্মা ১০ কেজি ও রেনাটা ১০ কেজি। তবে গণস্বাস্থ্য ছাড়া বাকিরা প্যাথেডিন উৎপাদন বন্ধ রেখেছে বলে জানা গেছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ঢাকা উপ-অঞ্চলের উপপরিচালক আবুল হোসেন দাবি করেন বাজারে প্যাথেডিনের সংকট হওয়ার কোনো খবর তার কাছে নেই।আর ওষুধের মূল্য, মান ও অন্যান্য বিষয় নিয়ন্ত্রণ করে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর।
উল্লেখ্য, এর আগে সরবরাহ সংকটের কারণে গত জানুয়ারিতে প্যাথেডিনের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে গিয়েছিল। সে সময় ২২ টাকা ৫০ পয়সা দামের প্যাথেডিন ৫০০-৭৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।