সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মেট্রোরেলের ফিজিক্যাল ওয়ার্ক আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হবে। জাপানের সহায়তায় মেট্রোরেল-৬ বাস্তবায়নের কাজ আমরা এগিয়ে নিচ্ছি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, উত্তরা তৃতীয় ফেজ থেকে মতিঝিল শাপলা চত্বর পর্যন্ত মেট্রোরেল স্থাপনে ৮টি প্যাকেজের মধ্যে ৬টির দরপত্র ইতোমধ্যে আহ্বান করা হয়েছে। আজ বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সংশোধিত কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা বিষয়ক কর্মশালায় বক্তৃতাকালে এ কথা বলেন।
প্রফেসর ড. জামিলুর রেজা চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় জাইকা’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণসহ অন্যান্যের মধ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এমএএন ছিদ্দিক, বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, বিআরটিসি’র চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান ও ডিটিসিএ’র নির্বাহী পরিচালক মো. কায়কোবাদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় তিনি এসটিপি রিভিশনের মতো একটি জটিল ও শ্রমসাধ্য কাজ চূড়ান্ত করার জন্য এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা, বিশেষজ্ঞ ও প্রকৌশলীদের ধন্যবাদ জানান। তিনি জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা জাইকা’র বাংলাদেশ ও টোকিও অফিসের কর্মকর্তাদেরও ধন্যবাদ জানান। তিনি বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন অংশীদার জাপান সরকার ও জাপানের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ কথা বলা হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জাইকা’র সহায়তায় স্ট্রাটেজিক ট্রান্সপোর্ট প্লান (এসটিপি) সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। দেশ-বিদেশের পরিবহন ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ, স্টেকহোল্ডারদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা এবং বিদ্যমান আইনী কাঠামো পর্যালোচনার মধ্যদিয়ে এসটিপি সংশোধনের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ঢাকা মহানগরীর সকল সড়ক উত্তর-দক্ষিণে হলেও পূর্ব-পশ্চিমের কানেকটিভিটি বাড়াতে মেট্রোরেল রুট-৫ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ রুট হবে গাবতলী থেকে শুরু হয়ে মিরপুর-১, মিরপুর-১৪ থেকে কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ-মাদানী এভিনিউ-নতুন বাজার হয়ে ভাটারা পর্যন্ত। তিনি বলেন, এ রুটের কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ থেকে ভাটারা পর্যন্ত অংশটি হবে আন্ডারগ্রাউন্ড।
মন্ত্রী বলেন, আরএসটিপি’র প্রকল্পসমূহ স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদে বাস্তবায়নের প্রস্তাব করা হয়েছে। স্বল্প মেয়াদে মেগা প্রকল্পসমূহ ২০২০ সালের মধ্যে, মধ্য মেয়াদে ২০২৫ সালের মধ্যে এবং দীর্ঘমেয়াদে ২০৩৫ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, সংশোধিত আরএসটিপি-তে মেট্রোরেলের ৫টি রুট, ২টি বিআরটি বা বাস র্যাপিড ট্রানজিট, ঢাকা মহানগরীকে ঘিরে বৃত্তাকার ৩টি রিং রোড এবং ৬টি এক্সপ্রেসওয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে। মেট্রোরেল রুট-১ এর এলাইনমেন্ট সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, রুটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শুরু হয়ে কুড়িল-প্রগতি স্মরণি-রামপুরা হয়ে কমলাপুর স্টেশনে এসে শেষ হবে।