বাংলাদেশ ইসলামিক স্টেট বা আইএসের অস্তিত্ব আছে কিনা, তা এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত নয় যুক্তরাষ্ট্র।
দেশটির স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র জন কারবি বলেন, আইএস বাংলাদেশে সক্রিয় কিনা, সেটি নিশ্চিত করে বলা কঠিন। আমি এ বিষয়ে নিশ্চিত করে বলার মতো অবস্থানেও নেই।
এসব ঘটনায় যে তদন্ত চলছে, প্রয়োজনে তাতে যেকোনো সহায়তা করতে তারা আগ্রহী বলে মি. কারবি জানান।
বাংলাদেশে দুইজন বিদেশী নাগরিকের হত্যাকাণ্ডের দায়িত্ব আইএস স্বীকার করেছে বলে সাইট ইন্টেলিজেন্স নামের একটি ওয়েবসাইটে দাবি করা হয়েছে।
আইএস পরিচয়ে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনার দায়িত্ব স্বীকার করা হয়েছে। তবে দেশটির কর্মকর্তারা বলছেন, এসব ঘটনার সঙ্গে আইএসের কোন যোগসূত্র নেই ।
তবে মি. কারবি বলেন, তাদের এই দাবির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলার কোন তথ্য তাদের কাছে নেই । তাদের এই দাবি সত্যি কিনা, সেটা যাচাই করার দায়িত্ব বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের। তারাই এ বিষয়ে তদন্তের পর সিদ্ধান্ত নেবে।
তবে অন্য আর সব ঘটনার মতো, আইএসের এই দাবির বিষয়টিও আমেরিকান সরকার গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে বলে তিনি জানান।
কারা এর জন্য দায়ী, তা সনাক্তে বাংলাদেশ ও সহযোগীদের সঙ্গে আমেরিকা ঘনিষ্টভাবে কাজ করছে বলে তিনি মি. কারবি জানান।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ইতালির নাগরিক চেজারে তাভেল্লা এবং ৩ অক্টোবর রংপুরে জাপানের নাগরিক কুনিও হোশিকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
২৬ অক্টোবর শিয়া সম্প্রদায়ের তাজিয়া মিছিলে বোমা হামলায় এক কিশোর নিহত আর অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র জন কারবি বলছেন, আইএসের দাবি সঠিক কিনা, সেটা যাচাই করে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে
এসব ঘটনার পর সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ জানায় যে, আইএস এসব হত্যাকাণ্ডের দায়িত্ব স্বীকার করেছে।
তবে বাংলাদেশের কর্মকর্তারা বরাবরই দাবি করছেন, এসব ঘটনার সঙ্গে আইএসের কোন যোগসূত্র নেই।
গত সোমবার চারজনকে গ্রেপ্তারের পর বাংলাদেশের পুলিশ জানিয়েছে, অস্থিতিশীলতা তৈরির জন্য একজন শ্বেতাঙ্গ বিদেশীকে হত্যার জন্য কোন এক ‘বড় ভাইয়ের’ নির্দেশে ভাড়াটে খুনিরা চেজারে তাভেল্লাকে হত্যা করে।
তবে বিদেশী নাগরিকদের উপর হামলা হতে পারে, এমন তথ্য রয়েছে দাবি করে, বাংলাদেশ ভ্রমণে সতর্ক বার্তা দিয়েছে বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ।