শেষ রক্ষা করতে পারলেন না ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যান আদিল রশিদ৷ নিজেদের ১ম টেস্ট জয়ের ৬৩ বছর পূর্তিতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে স্মরনীয় জয় তুলে নিলেন মিসবারা ৷ ম্যাচের মাত্র ৬.৩ ওভার বাকি থাকতেই জয় তুলে নিল পাকিস্তান৷ এই সিরিজের প্রথম টেস্টটি ড্র হওয়ায় দুবাইয়ে দ্বিতীয় টেস্টে ১৭৮ রানের জয়ের ফলে ৩ টেস্টের সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল তারা৷
ইংল্যান্ডের সামনে জয়ের জন্য ৪৯০ রানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল৷ চতুর্ দিনের খেলা শেষে ইংল্যান্ডের স্কোর ছিল ৩ উইকেটে ১৩০ রান৷ হারের ভ্রূকুটি মাথায় নিয়েই শেষ দিন ব্যাট করতে নেমেছিল কুক বাহিনী৷ দুই পাক স্পিনার, ইয়াসির শাহ ও জুলফিকার বাবরের দারুণ বোলিংয়ের জবাব ছিল না ইংরেজ ব্যাটসম্যানদের কাছে৷ পঞ্চম দিনে খেলতে নেমে ইংল্যান্ড ১৯৩ রানেই ৭ উইকেট হারায়৷ আগের দিনের ৫৯ রানে অপরাজিত থাকা ব্যাটসম্যান জো রুট আউট হয়ে যান ৭১ রানে৷ শেষ স্বীকৃত ব্যাটসম্যান বেন স্টোকস যখন আউট হলেন, তখনও দিনের খেলা শেষ হতে তখনও ৪১.৩ ওভার বাকি। কট্টর ইংরেজ সমর্থকও ভাবেননি এভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন তাঁদের লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানরা৷
এসময়ই ৮ নম্বরে নামা আদিল রশিদ স্টুয়ার্ট ব্রডকে নিয়ে পাকিস্তানের জয়ের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়ান৷ ৮ম উইকেটের জুটিতে ১৫ ওভার ক্রিজে থেকে ৬০ রান যোগ করেন তারা ৷ দুর্দান্ত এক ইনসুইঙ্গে ইয়র্কারে ব্রডকে (৩০) ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন ওয়াহাব রিয়াজ ৷ এরপর নবম ও দশম উইকেটে মার্ক উড ও জেমস অ্যান্ডারসনকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন রশিদ৷শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানকে স্বস্তি দেন জুলফিকর বাবর ৷ ৯৫ বল খেলে ফেলা উড (২৯) আউট হন স্লিপে ক্যাচ দিয়ে৷ নবম উইকেটে রশিদের সঙ্গে তার জুটিতে ওঠে ৫৫ রান। তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ, দুজনে উইকেটে ছিলেন ২৯.২ ওভার ৷ দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা রশিদ ততক্ষণে করে ফেলেছেন ক্রিকেট জীবনের প্রথম অর্ধশতরান৷ জেমস অ্যান্ডারসনের সঙ্গে শেষ জুটিতেও প্রায় ৫ ওভার কাটিয়ে দিয়েছিলেন তিনি৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত রশিদের ধৈর্য্য চ্যুতিতেই জয় পায় পাকিস্তান৷ ইয়াসির শাহর বলে বাবরের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন রশিদ (৬১) ৷
৪৭ ওভার বল করে মাত্র ৫৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন বাবর৷ আর প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ৪টি উইকেট নিয়েছেন লেগ স্পিনার ইয়াসির শাহ৷ প্রথম ইনিসে ৪ উইকেট নেওয়া ওয়াহাব রিয়াজ দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছেন ১টি উইকেট ৷ তবে ম্যাচে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন ওয়াহাব রিয়াজই৷আগামী রবিবার শারজায় হবে সিরিজের ৩য় ও শেষ টেস্ট ৷