অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ব্যাটারি স্মার্টফোন ইউজারদের কাছে এক মাথাব্যাথার বিষয়। কারণ, এক একটা অ্যাপ ব্যবহার করলেই ব্যাটারি ‘ড্রেনড’ হতে শুরু করে। অধিকাংশ স্মার্টফোন ইউজারই ব্যাকগ্রাউন্ডে ‘রান’ হওয়া অ্যাপস বন্ধ করতে পারেন না। যারা পারেন, তারা এটা জানেন না কিছু অ্যাপ আছে যেগুলি আপনি ‘ফোর্স স্টপ’ করলেও বন্ধ হয় না। কিন্তু বিশ্বজুড়ে স্মাটফফোন ইউজাররা যে অ্যাপ সবথেকে বেশি ব্যবহার করেন, সেটাই যে স্মার্টফোনের ব্যাটারি সবথেকে বেশি খরচ করে এ কথা জানেন কি?
হ্যাঁ। জনপ্রিয় সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ফেসবুক অ্যান্ড্রয়েড ফোনের চার্জ সবথেকে দ্রুত শেষ করে। তবে এটা কিন্তু ফেসবুক অ্যাপের স্বাভাবিক আচরণ নয়। এটা একটা গলদ। পোশাকি ভাষায় একে বলে ‘ইস্যু’। চলতি সপ্তাহেই বিশেষজ্ঞরা এই গদল ধরে ফেলেছে। অ্যান্ড্রয়েড এক্সপার্টরা বলছেন, আপনি যদি অ্যাপসের মেনু থেকে ফেসবুক অ্যাপকে বন্ধও করেন, তবু এটা ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতেই থাকে। খবর মেল অনলাইনের।
ফেসবুক স্বীকার করে নিয়েছে, তাদের অ্যাপে এই গলদ হচ্ছে সম্প্রতি। তার কারণ হিসেবে সংস্থার ব্যাখ্যা, লাগাতার ‘সিপিইউ স্পিনিং’ হওয়ায় অ্যাপটি বন্ধ হচ্ছে না। ‘ফোর্সড স্টপ’ করলেও নিজে থেকেই ফের চালু হয়ে যাচ্ছে। যার জন্য ফেসবুক একটি ব্লগে ক্ষমা চেয়ে পোস্ট করে জানিয়েছে, অ্যাপটির নয়া আপডেটে এই সমস্যাটি যাতে আর না হয়, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।
ফেসবুকের ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজার অ্যারি গ্রান্ট তার ব্লগে লিখেছেন, “আমাদের নেটওয়ার্ক কোডে একটি ‘ইস্যু’ ধরা পড়েছে। যেটা হল সিপিইউ স্পিন। যার ফলে আমাদের অ্যাপটি খুললে স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি ব্যাটারি ‘ড্রেনড’ হচ্ছে।” তার স্বীকারোক্তি, “আপনি যদি ফেসবুক অ্যাপে কোনও ভিডিও দেখেন, তারপর বন্ধ করে দেন, তবু দেখা যাচ্ছে অনেক সময় ভিডিওটির সাউন্ড ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতেই থাকছে। আমরা চেষ্টা করছি যত দ্রুত সম্ভব এই ইস্যুকে সলভ করার। ব্যাকগ্রাউন্ডে অ্যাপটি যাতে সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায় তার চেষ্টা করা হচ্ছে।
মোবাইল নিউজ অ্যাপ ‘সিরকা’ সহ-প্রতিষ্ঠাতা ম্যাট গালিগাল সবার আগে এই সমস্যাটি প্রকাশ্যে আনেন। তার দাবি, ফোনের মোট ব্যাটারির ১৫ শতাংশই এখন ফেসবুক অ্যাপের ব্যাকগ্রাউন্ডে খরচ হচ্ছে। বারবার বন্ধ করা সত্ত্বেও ‘রান’ হয়ে চলেছে ফেসবুক অ্যাপ।