কোচবিহার জেলার দিনহাটা ২ নং ব্লকের বামনহাটে শুরু হয়েছে কালী পুচো উপলক্ষে মেলা।উত্তরবঙ্গের গ্রামীন মেলাগুলির মধ্যে অন্যতম ঐতিহ্যবাহী এই মেলায় আসামসহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকার মানুষ আসেন। সার্কাস, মৃত্যুকূপ ও নাগরদোলাসহ হরেক রকমের দোকানীরা তাদের পসরা নিয়ে বসেন প্রায় দশ একর এলাকা জুড়ে। মেলা চলে প্রায় পনেরো দিন ধরে।শত শত পাঠা বলি এবং দু-একটি মহিষ বলি হয় মেলা শুরু হওয়ার ঠিক সাতদিনের মাথায়। গ্রামীণ মেলায় গ্রামীন সংস্কৃতির বিচিত্র প্রতিফলন হয়।কিন্তু বেশ কয়েক বছর হলো ৩টি জিনিসের খুব বাড়বাড়ন্ত মেলা জুড়ে। এক হল জুয়ার পার্ক। দুই হল অশ্লীল চিত্রহার বা হিন্দি গানের নাচ। এবং তিন চাকা ঘুরিয়ে অজস্র লটারি জুয়া।
এই বছর লিন্টু রায়ের নেতৃত্বে বেশ কিছু সচেতন গ্রামবাসী স্থানীয় প্রশাসন, বিডিও, থানার আইসি, এসডিও এবং জেলা স্তরে সুপারিন্টেন্ডেন্ট অব পুলিশের কাছে মাস পিটিশন জমা দেন ঐতিহ্যবাহী কালীমেলা থেকে সমস্ত রকমের জুয়া, অশ্লীল চিত্রহার বন্ধ করার জন্য। মেলা কমিটি জুয়া বসানোর ব্যাপারে কিছুটা দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিয়ে এবার জুয়ার পার্ক বসতে দেয়নি। কিন্তু অশ্লীল চিত্রহার ও চাকা ঘুরিয়ে লটারির জুয়া দিব্বি রমরমিয়ে চলেছে।
লিন্টু রায় জানালেন, স্থানীয় প্রশাসন, দিনহাটা থানার আইসি এবং কোচবিহার জেলার এসপি-কে চাকা ঘুরিয়ে লটারি জুয়া এবং চিত্রহার বন্ধের ব্যাপারে সাহায্য চাইলেও কোনো ফল হয়নি। জুয়ার আসর মেলায় না বসে একটু দূরে বাঁশঝাড়ে এবং কাছাকাছি বাংলাদেশ ছিটমহল পোয়াতুরকুঠিতে রমরমিয়ে আট-দশদিন ধরে চলছে। স্থানীয় আরও এক ব্যক্তির থেকে জানাযায়,জুয়া পার্ক স্থানীয় জুয়ারীদের ব্যবস্থাপনায় সংগঠিত হয়। এর জন্য পুলিশ প্রশাসন ও মেলা কমিটি প্রায় পাঁচ লাখ টাকায় চুক্তিতে আসে।কিন্তু এবার স্থানীয় গ্রামবাসীর চাপ থাকায় জুয়া পার্ক মেলা থেকে দূরে সরে গেছে। কিন্তু লটারি জুয়া এবং চিত্রহার মালিকরা পুরো পূর্বভারতের সকল মেলার জন্য বার্ষিক চুক্তি করে শীর্ষ স্তরের রাজনৈতিক নেতা ও শীর্ষ প্রশাসনের সঙ্গে।তাই সেগুলো বন্ধ হওয়ার বদলে পুলিশি প্রহরায় চলছে।