চীনের চেংদু শহরে চলতি বছর জন্ম নেওয়া ৬ জোড়া যমজসহ ১৩টি পান্ডাশাবককে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করেছে দেশটি। ওই অনুষ্ঠানে এক জোড়া যমজ পান্ডাশাবককে জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) ‘ভাবমূর্তি দূত’ হিসেবে মনোনীত করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। খবর পিটিআইয়ের।
বিশ্বব্যাপী পান্ডার মতো বন্য প্রাণী রক্ষার আহ্বান জানিয়ে বড় প্রজাতির পান্ডার বংশবৃদ্ধি নিয়ে কাজ করা চেংদু গবেষণা কেন্দ্র
ও ইউএনডিপির যৌথ উদ্যোগে ওই শাবকগুলোর জন্ম দেওয়া হয়।
শাবকগুলো উন্মুক্ত করার অনুষ্ঠানে ইউএনডিপির চীনের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর প্যাট্রিক হাভারম্যান উপস্থিত ছিলেন। সেপ্টেম্বরে ১৪ বছর বয়সী পান্ডা কিনহির জন্ম দেওয়া যমজ শাবক দুটিকে তিনি ইউএনডিপির ভাবমূর্তি দূত হিসেবে মনোনীত করার ঘোষণা দেন। এ ছাড়া বিশ্বব্যাপী পান্ডাভক্তদের কাছে তিনি যমজ শাবক দুটির নামকরণের অনুরোধ জানান।
চেংদু গবেষণা কেন্দ্রে চলতি বছর ১২টি যমজসহ ১৩টি পান্ডাশাবকের জন্ম দেওয়ার মধ্য দিয়ে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়। এতগুলো বাচ্চার সফলভাবে জন্ম দিতে পারার রহস্য সম্পর্কে ওই কেন্দ্রের একজন সদস্য বলেন, জন্মদান কেন্দ্রে মা পান্ডাকে প্রয়োজনীয় খাবার দেওয়ায় এ সাফল্য এসেছে।
চীনে দুই হাজারের কম বন্য পান্ডা রয়েছে। এসব পান্ডার বেশির ভাগেরই বাস চীনের সিচুয়ান ও সানসি প্রদেশে। এ ছাড়া প্রায় ৪০০টি পান্ডা বন্দী অবস্থায় রয়েছে। সঙ্গমে নিষ্ক্রিয় থাকায় বড় প্রজাতির পান্ডার জন্মহার খুবই কম। নারী পান্ডা বছরে একবার গর্ভধারণ করে এবং সর্বোচ্চ তিনটি শাবক জন্ম দেয়।