আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, সিঙ্গাপুরের মতো গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় বাংলাদেশেও ঠিক একইভাবে নির্বাচন হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে যেসব নির্বাচন হয়েছে তার সবক’টি নির্বাচন অবাধ নিরপেক্ষ হয়েছে। কেউ কোথাও অভিযোগ করেনি। এতে প্রমাণ হয়েছে আওয়ামী লীগের অধীনে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন। তার আগে বিএনপির মওদুদ আহমদ বক্তব্য দেন।
১২ মার্চ বিরোধীদলের সমাবেশে সরকারের বাধা দেয়ার বিষয়ে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের বক্তব্যের জবাবে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বিএনপির সময়ে গণআদালতে গোলাম আযমের বিচার চেয়ে যে আন্দোলন কর্মসূচি দেয়া হয়েছিল তাও ওই সময়ের সরকার করতে দেয়নি। যারা কর্মসূচি দিয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়।
তিনি বলেন, ‘১২ মার্চের সমাবেশে গোলাম আযম নিজামীর ছবি নিয়ে জামায়াতের কর্মীরা ছিল। সেই দিন ব্যবস্থা না নিলে রাস্তায় লাশের পর লাশ পড়তো। ১২ মার্চ বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে বিরোধীদলের নেতারা উল্টাপাল্টা কথা বলেছে। তারা সরকারের প্রতি বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়েছে। মন্ত্রীদের ঘরে বসে থাকতে বলেছে। এছাড়া জঙ্গিদের মাঠে নামানোর পরিকল্পনা ছিল। এ কারণে সরকারের কোনো বিকল্প ছিল না।’
তোফায়েল বলেন, ‘বিএনপির সময়ে ২০০১ সালে অপারেশন ক্লিনহার্টের মাধ্যমে ৫৮ জনকে হত্যা করা হয়েছিল। হত্যার পর ইনডেমনিটি দেয়া হয়। সে সময় অনেক রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে আমাকেও গ্রেফতার করা হয়েছিল। প্লেট চুরির মামলায় সাবের হোসেন চৌধুরীকে, ময়মনসিংহে সিনেমা হলে বোমা হামলার পর সন্দেহ করে আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ মতিউর রহমানকে আসামি করা হয়েছিল। যেই ঘটনার সঙ্গে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল না।’
তিনি বলেন, ‘২০০১ সালের নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঘরে ঘুমাতে পারেনি। বিএনপির সময়েই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল। সে সময় ১০ ট্রাক অস্ত্র কোথা থেকে এসেছিল তাও তো জানা যায়নি। সেসময় একই সঙ্গে ৬৩ জেলায় বোমা হামলা করা হয়েছিল।’
বিরোধীদলের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কখনও বলেনি ১০ টাকায় চাল দেয়ার কথা। বিনা পয়সায় সার দেয়ার কথা। এসব বিএনপি নেতাদের অসত্য প্রচার। অসত্য বলার জন্য যদি নোবেল দেয়া হয় তাহলে বিএনপি নেতাদের তা দেয়া যেতো।’