ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, সার্বিকভাবে সংসদের কার্যক্রমে আমরা হাতাশ। সংসদে সরকারি ও বিরোধী দলের উপস্থিতি গ্রহণযোগ্য নয়। সংসদীয় আচরণ থেকে ব্যাপক বিচ্যুতি হয়েছে। তিনি বলেন, একটি দল বা জোট যাদের সংসদে উপস্থিত নেই, তাদের নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। প্রতিপক্ষের সমালোচনা আগের সংসদের চেয়ে ১২ গুণ বেড়েছে। আজ রবিবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে ‘পার্লামেন্টওয়াচ’ বিষয়ক প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
বর্তমান জাতীয় সংসদ শুধুই নিয়ম রক্ষার এবং এটি কেবল ক্ষমতাসীন দলের একচ্ছত্র ভূবনে পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আরেকটি নির্বাচনই পারে জাতীয় সংসদকে কার্যকর করতে। তিনি বলেন, সংসদীয় কমিটির মূল দায়িত্ব পালনের প্রতি অনিহা, ও সংসদ সদস্যদের অবহেলা বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয়। নবম সংসদে বিরোধী দলের উপস্থিতর হার চার শতাংশ। এবার বিরোধী দলের উপস্থিতি ৫৩ শতাংশ। সেদিক থেকে সংসদে বিরোধী দলের অংশগ্রহণ বেড়েছে। তবে বিরোধী দল কতটুকু বিরোধী তা নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের পর থেকে প্রশ্নবিদ্ধ প্রধান বিরোধী দলের জোরালো ভূমিকার ঘাটতিসহ নানা কারণে সংসদ প্রত্যাশিত পর্যায়ে কার্যকর হয়নি। এছাড়া ক্ষমতাসীন দলের একছত্র ভূবন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মুলত বর্তমান জাতীয় সংসদ। এছাড়াও অসংসদীয় আচরণ ও ভাষার ব্যবহার বন্ধে স্পিকারের শক্তিশালী ভূমিকার অনুপস্থিততি; বিধান থাকলেও আন্তর্জাতিক চুক্তি বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠিত না হওয়া; আইন প্রণয়ন; প্রশ্নোত্তর ও জনগুরুত্বপূর্ণ নোটিশের আলোচনায় সদস্যদের কম অংশগ্রহণ; কমিটির সদস্যদের ব্যবসায়িক সংশ্লিষ্টতাসহ স্বার্থের দ্বন্দ্ব; সংসদীয় কার্যক্রমে তথ্যের উন্মুক্ততা ও অভিগম্যতার ঘাটতি ইত্যাদি কারণে সংসদ প্রত্যাশিত পর্যায়ে কার্যকর হয়নি।