আধুনিক স্মার্টফোনগুলো হাই রেজ্যুলেশনের পর্দা আর শক্তিশালী প্রসেসরে পূর্ণ। এ ছাড়া একইসঙ্গে নানা কাজ করতে গিয়ে ব্যাটারির অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। একই সমস্যা ল্যাপটপ, ট্যাব বা অন্যান্য মোবাইল ডিভাইসের ক্ষেত্রেও ঘটে। ব্যাটারি তো আর বদলে নিতে পারবেন না। তাই স্মার্টফোন বা ল্যাপটপের সঙ্গে যে ব্যাটারি রয়েছে তার জীবন বৃদ্ধিতে কয়েকটি কাজ করতে পারেন। এগুলো জেনে নিন-
১. একে ঠাণ্ডা রাখুন : অধিক তাপমাত্রায় ব্যাটারির শক্তি হ্রাস পায়। এসব ব্যাটারি সাধারণত ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ভালো অবস্থায় থাকে। এতে ব্যাটারির লাইফ সাইকেল সুষ্ঠু অবস্থায় থাকে।
২. বার বার চার্জ দিন : ব্যাটারি একবারে পুরোটা ব্যবহার করে তারপর পুরোদমে চার্জ না দিয়ে অন্য পথে ব্যাটারির শক্তি অটুট রাখা যায়। ব্যাটারির শক্তি ৩০ থেকে ৮০ শতাংশের মধ্যে থাকা অবস্থায় কয়েক বার চার্জ দিলে এর শক্তি সারাদিনই থাকবে।
৩. লোকেশন ট্র্যাকিং বন্ধ করুন : সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আইফোনের ফেসবুক অ্যাপ ক্রমাগত ব্যবহারকারীর লোকেশন ট্র্যাক করে এবং ব্যাটারি খেয়ে ফেলে। তাই মোবাইলের লোকেশন ট্র্যাকিং অপশনটি বন্ধ করে রাখুন।
৪. ব্রাইটনেস কমিয়ে রাখুন : পর্দার উজ্জ্বলতা কমিয়ে রাখুন। ব্রাইটনেস প্রচুর ব্যাটারি খেয়ে ফেলে। একে ‘অটো’ অপশনেও দিয়ে রাখতে পারেন। যখন যেমন প্রয়োজন, মোবাইল নিজেই উজ্জ্বলতা ঠিক করে নেবে।
৫. ফ্রি অ্যাপ ক্ষতিকর : সাধারণত অধিকাংশরাই ফ্রি অ্যাপ ব্যবহার করে থাকেন। এসব অ্যাপ থাকে বিজ্ঞাপনে পূর্ণ। বিজ্ঞাপন ব্যাটারির প্রতিদিনের জীবনকাল গড়ে আড়াই ঘণ্টা কমিয়ে দেয়। প্রসেসরকে মোবাইলের মস্তিষ্ক বলা হয়। ফ্রি অ্যাপের নানা ঝক্কি মোবাইলের মস্তিষ্ক খেয়ে ফেলে। কিন্তু যদি আপনি অ্যাপগুলো কিনে নেন, তবে তা ব্যাটারির ওপর তেমন চাপ ফেলে না।
৬. অ্যাপ আপডেটের ক্ষেত্রে : অ্যাপগুলো আপডেট করুন কেবলমাত্র ওয়াই-ফাইয়ের মাধ্যমে। অপশনে গিয়ে এ কমান্ড দিয়ে রাখুন। কারণ অপারেরটের ডেটা ব্যবহারে প্রচুর সিপিইউ পাওয়ার ক্ষয় হয়। তাই কেবলমাত্র প্লাগড ইন অথবা ওয়াই-ফাইয়ের মাধ্যমে অ্যাপ আপডেট করুন।
৭. লো পাওয়ার মোড ব্যবহার করুন : অ্যান্ড্রয়েড ফোনগুলোতে ব্যাটারির শক্তি বাঁচিয়ে চলার অপশন রয়েছে। লো পাওয়ার মোডে মোবাইলটি চালাতে পারেন। অ্যান্ড্রয়েড ললিপপে ব্যাটারি ১৫ শতাংশের নিচে চলে এলে ফিচারটি চালু হয়ে যায়। আর নতুন মার্শমেলোতে ফোন অব্যবহৃত থাকলে এমনিতেই ডিপ স্লিপ মোডে চলে যায়।
৮. ফ্লাইট মোডের ব্যবহার : ফোনের ব্যাটারি শেষ হওয়ার সঙ্গে সেলুলার নেটওয়ার্কের সম্পর্ক রয়েছে। যদি এমন কোনো স্থানে থাকেন যেখানে নেটওয়ার্ক নেই, সেখানে ফ্লাইট মোড দিয়ে রাখুন। কারণ মোবাইল নেটওয়ার্ক সার্চ করতে থাকবে এবং এতে ব্যাটারির ক্ষয় ঘটবে।