উইকেটে থাকলে ইনিংসের শেষ দিকে রানের প্লাবন বইয়ে দিতে কসুর নেই বিরাট কোহলির। কিন্তু সম্প্রতি তাঁর এই ক্ষমতায় কী একটু ভাটার টান লক্ষ্ করা যাচ্ছে না? ইনিংসের শেষ দিকে কেমন যেন জড়তায় ভুগছেন তিনি। ভেবে পাচ্ছেন না, কী করবেন! এক-দুই নিয়ে রানের চাকা সচল রাখবেন, নাকি সপাটে চালিয়ে যাবেন ব্যাট!
এই সমস্যার মূলে যে আছে আইসিসির নতুন পাওয়ার-প্লে আইন, এতে কোনো সন্দেহ নেই কোহলির। তিনি মনে করেন পাওয়ার প্লে আইনের এই পরিবর্তন ইনিংসের শেষ দিকে ব্যাটসম্যানদের কাজটা বেশ কঠিন করে দিয়েছে। সম্প্রতি ব্যাটিং পাওয়ার-প্লে আইনে যে পরিবর্তন এসেছে, সেখানে ইনিংসের শেষ দশ
ওভারে ৩০ গজ বৃত্তের বাইরে তিনজনের জায়গায় পাঁচজন ফিল্ডার রাখার বিধান করা হয়েছে।
পাঁচ ফিল্ডারে যে তাঁর নিজের সমস্যা হচ্ছে কোহলি তা স্বীকার করেছেন অকপটেই। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচের আগে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের গা-গরমের এক ফাঁকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসেই সবাইকে জানিয়েছেন তা। উপমহাদেশের ম্যাচগুলোয় এই সমস্যার পরিমাণ যে বেশি জানাতে ভোলেননি তাও, ‘আগের পাওয়ার প্লে আইনের তুলনায় নতুনটা ব্যাটসম্যানদের সমস্যা তৈরি করছে। উপমহাদেশের মাটিতে বলেই এই সমস্যাটা বেশি প্রকট। ইনিংসের শেষ দিকে বল নরম হয়ে যাওয়ার কারণে তা দিয়ে খুব সহজে বাউন্ডারি বের করা যায় না। বল নরম হয়ে যাওয়ার কারণে তা গতি হারায়। মূল সমস্যাটা এখানেই।’
উপমহাদেশের বাইরে আইসিসির নতুন আইন সমস্যা তৈরি করবে না বলেই অভিমত কোহলির। তিনি মনে করেন উপমহাদেশের বাইরে ৩০ গজ বৃত্তের বাইরে পাঁচ ফিল্ডারের ব্যাপারটিও ওসব জায়গায় সমস্যা মনে হবে না। তবে এই নতুন আইন রানিং বিটুইন দ্য উইকেটের পরিমাণ অনেক বাড়িয়ে দেবে। যেহেতু বাউন্ডারি বের করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে, তাই সেই স্কোরিং সমস্যার সমাধানটা তো রানিং দিয়েই করতে হবে।’
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে চতুর্থ ওয়ানডেতে খেলেছেন ১৩৮ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস, দলও জয় পেয়েছে ৩৫ রানের ব্যবধানে। সব মিলিয়ে ওয়াংখেড়ের মাঠে খেলতে নামার আগে বেশ আত্মবিশ্বাসীই দেখাচ্ছে ভারতীয় দলকে।
কোহলির কাছেও ব্যাপারটা আনন্দদায়ক। তাঁর মতে, এই ম্যাচটাতেই ভারতীয় দল সিরিজে প্রথমবারের মতো সম্মিলিত পারফরম্যান্সে সাফল্য পেয়েছে, ‘জয়টা আমাদের আত্মবিশ্বাস অনেক খানিই বাড়িয়ে দিয়েছে। এই ম্যাচের আগে আমরা আমাদের সমস্যাগুলো নিয়ে বসেছিলাম। বেশ কিছু সমস্যাও চিহ্নিত করেছিলাম। চতুর্থ ওয়ানডেতে সেই সমস্যাগুলোর সমাধান করতে পেরেছি। প্রত্যেকেই ব্যাট হাতে রান পেয়েছে। বোলাররা তাদের কাজটা ঠিকঠাক করেছে। ম্যাচটা গোটা দলের মানসিকতাই বদলে দিয়েছে।’ সূত্র: আইএএনএস।