গণপরিবহনে যাত্রী হয়রানি এবং অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধের দাবীতে আজ শুক্রবার রাজধানীর হাজারীবাগের কোম্পানীঘাট সংলগ্ন বাসস্ট্যান্ডে গ্রীন মাইন্ড সোসাইটির উদ্যোগে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এ সময় বক্তারা বলেন, পরিবহন মালিক এবং শ্রমিকেরা যাত্রীদের জিম্মি করে রীতিমত জোরপূর্বক সরকার নির্ধারিত বর্ধিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন। অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে বাস ও মিনিবাস শ্রমিকদের সাথে যাত্রীদের বাকবিতন্ডা এমনকি হাতাহাতি, মারামারির ঘটনাও ঘটছে এবং যাত্রীরা হয়রানির স্বীকার হচ্ছে।
দৈনিক সময়ের সংবাদের সম্পাদক এম.এ. রব রনি সভাপতিত্বে মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন গ্রীন মাইন্ড সোসাইটির সভাপতি আমির হাসান মাসুদ, সহ-সভাপতি কে.এ মজনু, ফ্রেন্ডস ফোরাম বুড়িগঙ্গার সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সহসম্পাদক মো. সহিদ, সমাজ উন্নয়ন কর্মী জাহাঙ্গীর আলম, পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্স এর কামরুজ্জামান উজ্জল ঢাকা উইনার পাবলিক স্কুলের পরিচালক রুহুল আমিন, পপুলার আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক দিদারুল আলম, পান্না গ্রুপের মিজানুর রহমান, ব্যবসায়ী ওমর ফারুক প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সরকার বাস-মিনিবাসের ভাড়া যাত্রী প্রতি কিলোমিটারে ১০ পয়সা বৃদ্ধি করেছে। কিন্তু মালিকরা চিরাচরিত কায়দায় কয়েকগুণ বেশি ভাড়া আদায় করছে। এতে করে নিম্নআয়ের প্রতিটি নাগরিকের যাতায়াত ব্যয় ১৫০০ টাকা থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। বাস ও মিনিবাসে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা নেই। যে কয়েকটি বাসে ভাড়ার তালিকা রয়েছে তাতেও দূরত্ব বাড়িয়ে লেখা রয়েছে। এতে প্রতিনিয়ত যাত্রীদের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে পরিবহন শ্রমিকরা। ঢাকা ও আশপাশের জেলার প্রত্যেক নাগরিককে দূরত্ব ভেদে মাসে ৫০০ থেকে ১৫০০ টাকা বেশি ভাড়া দিতে হচ্ছে। এর ফলে প্রতিটি পরিবারকে যাতায়াত খাতে ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা বেশি ব্যয় করতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, গণপরিবহন পরিচালনার ক্ষেত্রে যে আইন রয়েছে তা বাস্তবায়নে নেই কোন কার্যকর উদ্যোগ। হঠাৎ করে কখনো আইন প্রয়োগের উদ্যোগ নেয়া হলে মালিক এবং শ্রমিকেরা রাস্তায় অবরোধ বা ধর্মঘট ডেকে গোটা দেশ ও জনগণকে জিম্মি করে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করে এবং তাদের অযৌক্তিক দাবী আদায় করে থাকে। গণপরিবহনের মালিক এবং শ্রমিকদের আইন অমান্য করে তাদের খেয়াল খুশি মতো যানবাহন পরিচালনার প্রবণতা রোধে তাদের সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সরকারকে এখনই সক্রিয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় এ সেক্টরে ভবিষ্যতে যে ভয়াবহ নৈরাজ্য সৃষ্টি হবে তা জনজীবনে দুর্ভোগ বাড়িয়ে দিবে এবং অর্থনীতিতে বিরুপ প্রভাব ফেলবে।