দিন চারেকের উৎসবের রোশনাই নিভিয়ে উমা যখন ফিরছেন, তখন তিনি ফিরলেন কলকাতায় মায়ের বাড়ি। রবিনসন স্ট্রিটে মায়ের আবাসনের পুজোয় মনকেমনের সিঁদুরে উমাকে বিদায় জানালেন বিশিষ্ট অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। এ আবাসনে তিনি অবশ্য যত না নায়িকা, তার থেকেও বেশি ঘরের মেয়ে। উমা চলে যাচ্ছে বলে যেমন বিষাদ, তেমনই নিজের মায়ের বাড়িতে পুজোর একটা দিন আসার আনন্দও আছে। আসলে দশমীর মুডটাই যে এ রকম। মনখারাপের আলপনাতেই যে আঁকা থাকে আগামী বছরের জন্য অপেক্ষার আগমনী।
কাজের চাপে মায়ের বাড়ি আসাই হয় না তার। উমা তাও চারটে দিন থাকলেন বাপের বাড়ি। তার আসা মেরে-কেটে এক-দুই দিন। তবু মেয়েকে সেটুকু কাছে পেয়েই খুশি মা। খুশি ঋতুপর্ণাও। হাজারো কাজ থাকলেও দশমীর সকালে এসে দেখা করে যান মায়ের সঙ্গে। সিঁদুরে মাকে বিদায় জানান। তারপর ঘরের মেয়ের মতোই অন্যান্য মহিলাদের সাথে সিঁদুরখেলায় কাটান কিছুটা সময়।
পুজোর বেলাশেষে মায়ের কাছে তার কী প্রার্থনা? আর কিছু নয়, তিনি শুধু চাইলেন শক্তি, যাতে আরও ভালো ভালো কাজ দর্শকদের উপহার দিতে পারেন। সন্দেহ নেই, টলিপাড়ায় নারীশক্তির তিনিই প্রধান প্রতিনিধি। হিরোহীন হিরোইন হয়ে তার লড়াই আজ প্রতিষ্ঠার ডাকের সাজে ঝলমলে। আর তাই পুজোয় কোনো নায়ক নয়, বেগম জান’র সংলাপই ফিরছে মানুষের মুখে মুখে।