প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ক্ষুদ্র রাষ্ট্র পালাউয়ে বন্দুক আইন কঠোর করার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে। ৩০ বছরের মধ্যে দেশটিতে প্রথমবারের মতো বন্দুকের গুলিতে নিহতের ঘটনা ঘটে। তারপর এ বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে জানা গেছে। চলতি মাসের প্রথমদিকে এ হত্যাকা-ের ঘটনাটি ঘটে। ১১ অক্টোবর ভোরের দিকে এক পেট্রোল স্টেশনের রাস্তায় কোরোরের মৃতদেহ পাওয়া যায়। এদিকে পালাউয়ে ইতোমধ্যেই বন্দুকের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। দেশটিতে শুধু সৈন্য ও পুলিশ সদস্যরা আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি রাখতে পারে। এয়ার রাইফেল ছোট প্রাণী শিকারের জন্য ব্যবহৃত হয়। কোশিবাকে এই অস্ত্রটি দিয়ে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।
ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩৭ বছর বয়সী কোরোকে উপর্যুপরি গুলি করা হয়েছে। তার হৃদপিন্ড ও মেরুদন্ডে এয়ার গ্যাস রাইফেলের গুলি পাওয়া গেছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে নিকোলাস কোউলুবাক, ক্লিফটন কোউলুবাক ও মাইকেল উইলিয়ামসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সেকেন্ড ডিগ্রি হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট টমি রেমেঙ্গেসাউ জানান, কেনেথ কোশিবার বাসিন্দা কোরোরের মৃত্যুতে ২১হাজার জনসংখ্যা অধ্যুষিত দেশটিতে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। বিশ্বের অন্যতম সেরা আন্ডারওয়াটার ডাইভিং সাইট হিসেবে দেশটির সুখ্যাতি রয়েছে। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এই ঘটনায় আমি স্তম্ভিত এবং এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। প্রসঙ্গত সর্বশেষ ১৯৮৮ সালে প্রেসিডেন্ট লাজারুস সালি মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে আত্মহত্যা করেন। তারও তিনবছর আগে তার পূর্বসূরি হারুরো রেমালিককে কমপক্ষে দুই বন্দুকধারী গুলি করে হত্যা করে। আততায়ীদের ধরা সম্ভব হয় নি।