ইন্দোনেশিয়ায় শিশু নির্যাতনকারীকে রাসায়নিক পদ্ধতিতে নপুংসক করে দেয়া হবে। এর আগে পোল্যান্ড, রাশিয়া, এস্তোনিয়া এবং আমেরিকার কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে যৌন নির্যাতনকারীদের এ জাতীয় শাস্তি দেয়ার ব্যবস্থা নেয়ার পর ইন্দোনেশিয়া তা প্রচলন করতে যাচ্ছে। এশিয় দেশগুলোর মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া প্রথম অর্থাৎ ২০১১ সালে এই আইন প্রণয়ন করেছে। দেশটিতে শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতন বন্ধের জন্য এ পদ্ধতি গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ইন্দোনেশিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ প্রাসেতিও বলেছেন, দেশটিতে শিশুদের ওপর চাঞ্চল্যকর যৌন নির্যাতন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তিনি বলেন, এ জাতীয় শাস্তি দেয়া হলে এমন অপরাধ করার আগে যে কেউ হাজারবার চিন্তা-ভাবনা করবে। প্র্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে এ শাস্তির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রেসিডেন্ট এ সংক্রান্ত ফরমান জারি করবে বলে উল্লেখ করে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এতে সংসদের ভোটাভুটি ছাড়াই এটি আইনে পরিণত হবে। এ আইনে শরীরে ইনজেকশনের মাধ্যমে স্ত্রী হরমোন ঢুকিয়ে দিয়ে শিশুর ওপর যৌন নির্যাতনকারীকে নপুংসক করে দেয়া হবে।
ইন্দোনেশিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল মঙ্গলবার দেশটির মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে বলেন, শিশুদের যৌন নির্যাতন এমন আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে যে এর বিরুদ্ধে এধরনের শাস্তি প্রচলন করা ছাড়া উপায় নেই। আর যৌন নির্যাতনকারীর শরীরে হরমোনের পরিবর্তনে তার মধ্যে কোনো ধরনের যৌন আকাঙ্খা জাগবে না। গত বছর জাকার্তায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস পরিচালিত একটি স্কুলে ৬ বছরের একটি মেয়েকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় দেশটিতে ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তি দেয়ার দাবি ওঠে। এছাড়া এ মাসের প্রথমদিকে জাকার্তায় আরেকটি স্কুলে ৯ বছরের একটি মেয়েকে যৌন নির্যাতন করা হয়।