ফিলিপাইনে বন্যায় আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৪তে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া বন্যার কারনে হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। অনেকেই বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানা গেছে। ঝড়ের কারণে সৃষ্ট ভারি বৃষ্টিপাতে দেশটির বিভিন্ন এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। ঘূর্ণিঝড় কোপ্পোর আঘাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উপকূলীয় মৎস এলাকা এবং কৃষিপ্রধান গ্রামগুলো। এসব এলাকায় প্রায় ১০ মিটার পানির নিচে তলিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে কর্মকর্তারা।
ম্যানিলা থেকে দূরবর্তী বুলাকান এবং পামপাংগা প্রদেশে রাতারাতি বন্যার পানি বেড়ে যাওয়ায় ওই এলাকার বাসিন্দারা পায়ে হেঁটেই আশ্রয় কেন্দ্রে পৌঁছেছেন। স্থানীয় সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক নিগেল লনটস সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পানি সরে যাওয়ার মত কোনো জায়গা বাকি নেই। কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টিতে পাহাড়ি এলাকাগুলোও পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
কোপ্পুর আঘাতে রোববার ও সোমবার ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে নুয়েভা ইসিজা এবং আউরোরা প্রদেশ পানিতে তলিয়ে গেছে। ওই দুই উঁচু প্রদেশের পানি বুলাকান এবং পামপাংগা প্রদেশে ঢুকে পড়ায় প্রায় ৬০ হাজার মানুষ নিজেদের ঘর-বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। লনটোস জানিয়েছেন, উপকূলীয় এলাকায় বন্যার পানি প্রায় এক সপ্তাহ স্থায়ী হতে পারে। কোপ্পুর আঘাতে পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলীয় শহর লিউজনে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। ওই দ্বীপশহরটি ফিলিপাইনের সবচেয়ে বড় এবং জনপ্রিয় শহর। সেখানে ঘূর্ণিঝড়ের সময় প্রতি ঘণ্টায় ২১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হয়েছিল। জাতীয় দুর্যোগ নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে বন্যার কারণে দেশটির প্রায় ৫ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়েছে।
ফিলিপাইনে বছরে ২০টির মত ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। এর মধ্যে বেশ কিছু ভয়ানক তাণ্ডব চালায়। এর আগে নভেম্বরে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হাইয়ানের আঘাতে প্রায় ৭ হাজার ৩শ ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।