ভারতের মুম্বাইয়ের একটি সেফহোমে থাকা ১০৩ বাংলাদেশি নারীকে দেশে ফিরিয়ে আনতে আইনগত সহায়তা প্রদানের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া অনুবিভাগের মহাপরিচালক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব(রাজনৈতিক), দিল্লীতে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাই কমিশনারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ত মঙ্গলবার বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন।
একইসঙ্গে এ বিষয়ে সরকার কি ব্যবস্থা নিয়েছে তা ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন আকারে দাখিল করার নির্দেশও দিয়েছেন হাইকোর্ট।
পররাষ্ট্র সচিব, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া অনুবিভাগের মহাপরিচালক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব (রাজনৈতিক) কে এই প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এছাড়াও আদালত বাংলাদেশ সংবিধানের ২৭, ৩১ ও ৩৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ওই নারীদের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না জানতে চান।
একইভাবে ভিয়েনা কনভেনশন অন কনসুলার রিলেশন-১৯৬৩ অনুযায়ী ওই বাংলাদেশি নারীদের অধিকার বাস্তবায়নে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।
দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনে গত ৩০ প্রকাশিত ‘মুম্বাইয়ে উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশি নারীরা দেশে ফিরতে পারছে না’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে পরিপ্রেক্ষিতে দৈনিক আমাদের সময়ের সাংবাদিক হীরা তালুকদার হাইকোর্টে একটি রিট দাখিল করেন।
আদালতে রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. শহিদুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আলতাফ হোসেন।
বাংলাদেশ প্রতিদিনের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ১০৩ জন বাংলাদেশি নারী মুম্বাইয়ে ‘রেসকিউ ফাউন্ডেশন’ নামে একটি বেসরকারি সংস্থার হেফাজতে রয়েছেন। বিভিন্ন বাড়ি ও নিষিদ্ধ এলাকা থেকে মুম্বাই পুলিশ আটক করার পর তাদেরকে ওই সংস্থাটি হেফাজতে নেয়।