জাপানের বাজারে যেতে পারে ওয়ালটন পণ্য : জাপানের রাষ্ট্রদূত

জাপানের বাজারে যেতে পারে ওয়ালটন পণ্য : জাপানের রাষ্ট্রদূত

পণ্যের গুণগতমানের কারণে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান ওয়ালটনের তৈরি ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী জাপানের বাজারে প্রবেশ করতে পারবে। এছাড়া জাপানের কোম্পানিগুলো ওয়ালটনের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।

বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত শিরো সাদোশিমা এ অভিমত দিয়েছেন। মঙ্গলবার গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শনে যান তিনি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন জাপান দূতাবাসের ইকোনোমিক কাউন্সিলর মিকি ইয়ামামোতো।

ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান এস এম শামসুল আলম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম আশরাফুল আলম, পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম ও ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসডর চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন তাদের স্বাগত জানান।

অন্যদের মধ্যে নির্বাহী পরিচালক (জনসংযোগ ও গণমাধ্যম) হুমায়ুন কবীর, অতিরিক্ত পরিচালক লে. কর্নেল (অব.) এম এ কাদের, ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা এস এম জাহিদ হাসান, জ্যেষ্ঠ উপ-পরিচালক মাহমুদুল হকসহ ওয়ালটন হাই টেক লিমিটেডের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জাপানের রাষ্ট্রদূত ওয়ালটন পণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়া দেখে সন্তোষ ও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে তিনি বলেন, ওয়ালটন পণ্যের মান অত্যন্ত উন্নত। ওয়ালটন পণ্য অবশ্যই জাপানের বাজারে প্রবেশ করতে পারে।

রাষ্ট্রদূত শিরো সাদোশিমা বলেন, মোটরসাইকেল, ফ্রিজ এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মেশিন (এয়ারকন্ডিশনার) উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রায় প্রত্যেকটি যন্ত্র ওয়ালটন নিজেরাই তৈরি করছে। উচ্চমানের প্রশিক্ষিত প্রকৌশলী এবং বিশ্বের সবর্শেষ প্রযুক্তির সমন্বয়ে তারা অতি উচ্চমানের পণ্য তৈরি করছে।

ওয়ালটনের আন্তর্জাতিক বিপণন বিভাগের প্রধান লোকমান হোসেন আকাশ জানিয়েছেন, এরমধ্যে জাপানের কিছু কোম্পানি ওয়ালটন পণ্য সেদেশে বাজারজাত করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে জাপানি রাষ্ট্রদূত বলেন, অবশ্যই ওয়ালটন পণ্য জাপানে রফতানির সুযোগ রয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতার জন্য প্রয়োজন গুণগত উচ্চমান। বিভিন্ন দেশে ওয়ালটন পণ্য রফতানি হচ্ছে। ওয়ালটন উচ্চমানের পণ্যই তৈরি করছে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, জাপানি কোম্পানিগুলো ওয়ালটনের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে চায়। বিশেষ করে ওয়ালটনের কম্প্রেসর তৈরির প্ল্যান্ট, মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন তৈরির ফ্যাক্টরি স্থাপন- এসব বিষয়ে জাপান ওয়ালটনকে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা দিতে আগ্রহী।

জাপান ওয়ালটন তথা বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে পাশে থাকতে চায়।

ওয়ালটনের জ্যেষ্ঠ উপ-পরিচালক উদয় হাকিম বলেন, খুব শিগগিরই জাপানের বাজারে প্রবেশ করতে যাচ্ছে ওয়ালটন। আশা করি জাপানি রাষ্ট্রদূতের এই পরিদর্শনের মাধ্যমে সে প্রক্রিয়া আরো ত্বরান্বিত হবে।

এর আগে জাপান এক্সটারনাল ট্রেড অর্গানাইজেশন- জেট্রো’র প্রায় ৫০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ওয়ালটন কারখানায় উৎপাদন প্রক্রিয়া দেখে সন্তোষ প্রকাশ করে গেছেন। এর ফলে বাংলাদেশ সম্পর্কে জাপানিদের মনে উচ্চ ধারণার জন্ম নিয়েছে।

জাপানি পত্র-পত্রিকায় ওয়ালটনের ব্যাপক প্রশংসা করা হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে জাপান সুযোগ খুঁজছে কীভাবে ওয়ালটনকে আরো সহযোগিতা করা যায়।

অর্থ বাণিজ্য