দক্ষিণ কোরিয়ার প্রায় ৪০০ নাগরিক গতকাল মঙ্গলবার প্রতিবেশী উত্তর কোরিয়ায় তাঁদের বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া স্বজনদের সঙ্গে পুনর্মিলিত হয়েছেন। তাঁরা গরম কাপড়, নগদ অর্থ, প্রসাধনসামগ্রীসহ নানা উপহার নিয়ে উত্তর কোরিয়ার মাউন্ট কুমগাং অবকাশযাপন কেন্দ্রে পৌঁছান। এ পুনর্মিলনী তিন দিন চলবে।
উত্তরে যাওয়া দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিকদের বেশির ভাগই প্রবীণ। তাঁরা ছয় দশকের বেশি সময় পর স্বজনদের সঙ্গে দেখা করার দুর্লভ সুযোগ পেলেন।
১৯৫০-১৯৫৩ সালের কোরীয় যুদ্ধে ওই উপদ্বীপ ও জনগণ বিভক্ত হয়ে যায়। যুদ্ধে বেশ কয়েক লাখ লোক বাস্তুচ্যুত হয়। ধ্বংস ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে ভাইবোন, মা–বাবা, স্বামী-স্ত্রী একে অপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান।
কুমগাং পুনর্মিলনী কেন্দ্রে বড় ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাওয়ার আগে ৮২ বছর বয়সী লি জু-কুক বলেন, ‘গত রাতে একটুও ঘুমাতে পারিনি।’
দক্ষিণ কোরিয়ার বন্দরনগরী সুকচোর একটি অবকাশযাপন কেন্দ্র থেকে রেডক্রসের পতাকাবাহী বাসের একটি বহর ৪০০ প্রবীণকে নিয়ে রওনা হয়। সীমান্তের উচ্চ-নিরাপত্তা তল্লাশিচৌকি পার হওয়ার পর দক্ষিণ কোরিয়ার ওই নাগরিকেরা বেলা দেড়টার দিকে উত্তর কোরিয়ার কুমগাং অবকাশযাপন কেন্দ্রে পৌঁছান। নির্ধারিত সময়সূচির দুই ঘণ্টা আগেই পৌঁছে যান তাঁরা।
গত পাঁচ বছরের মধ্যে এটি দুই কোরিয়ার নাগরিকদের দ্বিতীয় পুনর্মিলনী।