স্লোভেনিয়া সতর্ক করে দিয়ে বলেছে যে তাদের পক্ষে অনির্দিষ্ট সংখ্যক অভিবাসী গ্রহণ করা সম্ভব না, যদি না দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় প্রতিবেশী অস্ট্রিয়া বলে যে এদের ঢুকতে দেয়া হবে।
অন্যদিকে হাঙ্গেরী অভিবাসীদের জন্যে তাদের সীমান্ত বন্ধ করার পর দক্ষিণের প্রতিবেশী ক্রোয়েশিয়া প্রতিদিন ৫ হাজার অভিবাসীকে গ্রহণ করতে স্লোভেনিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
স্লোভেনিয়া বলছে, এর অর্ধেক পরিমাণ অভিবাসীকে তারা গ্রহণ করবে।
দেশটি বলেছে, এখন থেকে রোজ সর্বোচ্চ আড়াই হাজার অভিবাসীকে সীমানা অতিক্রম করার অনুমতি দেয়া হবে।
তবে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৫ হাজার শরণার্থীকে স্লোভেনিয়ার সীমানায় প্রবেশের অনুমতি দিতে এক সময় স্লোভেনিয়াকে অনুরোধ জানিয়েছিল প্রতিবেশী রাষ্ট্র ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু স্লোভেনিয়ার পক্ষে ক্রোয়েশিয়ার অনুরোধ রাখা আর সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
কারণ হিসেবে তারা বলেন, অস্ট্রিয়া দৈনিক দেড় হাজার অভিবাসী নেবে বলে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যা বেঁধে দিয়েছে। সুতরাং তাদের পক্ষে রোজ ৫ হাজার করে অভিবাসী গ্রহণ সম্ভব নয়।
স্লোভেনিয়া ও ক্রোয়েশিয়ায় অভিবাসী হিসেবে যারা আসছেন, তাদের অধিকাংশই আফগানিস্তান, সিরিয়া ও ইরাকের নাগরিক।
আর তারা জার্মানি, নরওয়ে ও অস্ট্রিয়ার মতো পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোতে পৌঁছানোর উদ্দেশ্যেই স্লোভেনিয়া ও ক্রোয়েশিয়াকে মূলত ট্রানজিট হিসেবেই ব্যবহার করছে।
এদিকে, তুরস্ক বলেছে যে ইউরোপে শরনার্থীর ঢল কিভাবে বন্ধ করা যায় তা নিয়ে জার্মানির সঙ্গে আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে। আরও কয়েকে হাজার মানুষ এখন তুরস্ক হয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে ঢোকার চেষ্টা করছে।
ইস্তানবুলে জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের সঙ্গে বৈঠকের পর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইইপ এরদোয়ান বলেন, তারা আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে রাজি হয়েছেন। সূত্র : বিবিসি বাংলা