ওয়ালটন জাতীয় গর্ব : আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

ওয়ালটন জাতীয় গর্ব : আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেছেন, ওয়ালটন এখন জাতীয় 4গর্বে পরিণত হয়েছে। ওয়ালটন দক্ষতা, যোগগ্যতা এবং সার্ভিস দিয়ে দেশ-বিদেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। ওয়ালটন বাংলাদেশের মানুষের সামনে সাফল্যের যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে তা আইসিটি খাতের বিনিয়োগকারীদের উদ্বুদ্ধ করবে। সরকারি নীতিমালার আওতায় ওয়ালটনকে বেসরকারি হাইটেক পার্ক ঘোষণার আশ্বাস দেন তিনি। পাশাপাশি ওয়ালটনকে হাইটেক পার্কের সকল সুযোগ-সুবিধা দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক গত ১৫ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন ফ্যাক্টরি কমপ্লেক্স পরিদর্শন শেষে তার প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি ওয়ালটনের নবনির্মিত ই-কমার্স ওয়েবসাইটের উদ্বোধন করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ওয়ালটন কারখানায় পৌঁছলে তাকে শুভেচ্ছা জানান ওয়ালটন গ্রুপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম আলম, ওয়ালটনের পরিচালক রেজাউল আলম শামীম ও মঞ্জুরুল আলম অভি, নির্বাহী পরিচালক আবুল বাশার হাওলাদার, অপারেটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম, লে. কর্ণেল (অব.) আব্দুল কাদের, কর্নেল (অব.) এসএম শাহাদাত আলম প্রমূখ। প্রতিমন্ত্রী কারখানা প্রাঙ্গণে পৌছানোর পর ওয়ালটনের বিভিন্ন উৎপাদন ইউনিট সরেজমিন পরিদর্শ করেন।
উল্লেখ্য, ওয়ালটন হাইটেক পার্কে বিশ্বের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, মেশিনারিজ এবং অত্যন্ত দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রকৌশলীদের সমন্বয়ে উন্নতমানের ফ্রিজ, মোটরসাইকেল, এয়ারকন্ডিশনারসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী উৎপাদন করা হচ্ছে। এছাড়া ওয়ালটন মাইক্রোটেক করপোরেশনে তৈরি হচ্ছে বিশ্বমানের টেলিভিশন ও অন্যান্য হোম এ্যাপ্লায়েন্স। প্রযুক্তি নির্ভর এসব পণ্য দেশের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে।
কারখানা কমপ্লেক্স পরিদর্শন শেষে প্রতিমন্ত্রী ওয়ালটনের কর্পোরেট ডকুমেন্টারি উপেভোগ করেন। এরপর তিনি কথা বলেন সাংবাদিকদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ওয়ালটন ব্র্যান্ড সারা বিশ্বে একটি নজির সৃষ্টি করেছে। এই ব্র্যান্ডকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে যাতে ওয়ালটনের সাফল্যের গল্প নিয়ে সারা বিশ্ব গবেষণা করে। তিনি বলেন, ওয়ালটন হাইটেকে এখন ১৫ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি হযেছে। ২০২১ সালের মধ্যে ওয়ালটন হাইটেক পার্কে ১ লাখ তরুন তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
ই-কমার্স সাইট প্রসঙ্গে ওয়ালটনের আইটি বিভাগের সিনিয়র অতিরিক্ত পরিচালক আরিফুল আম্বিয়া বলেন, ওয়ালটন বাংলাদেশের একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ব্র্যান্ড। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে বিশ্বমানের পণ্য তৈরি করার মাধ্যমে ইতোমধ্যে ওয়ালটন ক্রেতাদের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। ক্রেতারা যাতে আরো সহজে ওয়ালটন পণ্য ক্রয় করতে পারেন সেই উদ্দেশ্যে ই-কমার্স সাইট তৈরি করা হয়েছে।
এই ই-কমার্স সাইটের মাধ্যমে এখন থেকে ক্রেতারা ঘরে বসে বাংলাদেশের যেকোন প্রান্ত থেকে অন-লাইনের মাধ্যমে ওয়ালটনের যেকোনো পণ্য ক্রয় করতে পারবে। এক্ষেত্রে, ক্রেতাদেরকে হোম ডেলিভারী সেবাও প্রদান করা হবে বলে জানান আম্বিয়া। তিনি আরো বলেন, ভবিষ্যতে ই-কমার্স সাইটের মাধ্যমে ওয়ালটন পণ্য ক্রয়ের উপর বিশেষ ছাড় প্রদান করা হবে।
উল্লেখ্য, আগ্রহী ক্রেতারা ওয়ালটনবিডি.কম ওয়েব সাইটে গিয়ে ই-কমার্স সেবার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির যেকোনো ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল, অটোমোবাইল, হোম ও কিচেন এ্যাপ্লায়েন্সেস সহজেই কিনতে পারবেন।

Featured অর্থ বাণিজ্য