নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই যত্রতত্র গড়ে উঠছে ব্যক্তিমালিকানাধীন হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ক্লিনিক। প্রতিবছর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এসব হাসপাতাল পরিদর্শন করে, তাদের নির্দেশনা অনুসরণ করার কথা বললেও, জরুরি সেবার অজুহাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা মানছেন না।
এ পরিস্থিতিতে নিয়ম ভাঙলে সর্বোচ্চ ছয় মাস সময়সীমার মধ্যে তা বন্ধ করা হবে বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
বেসরকারি হাসপাতালের মান যাচাই করতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ঝটিকা অভিযানে নামে। রাজধানীর ভেতরে এবং বাইরের হাসপাতালগুলোতে চলে এই অভিযান। এরমধ্যে ঢাকার অদূরে কেরানীগঞ্জ, সাভার এবং গাজীপুর উল্লেখযোগ্য।
রক্ত সঞ্চালন এবং সংরক্ষণের অনুমতি না থাকায়, অভিযানে বেশকিছু বেসরকারি হাসপাতাল এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি তাদের সেবার মান ঠিক আছে, তবে সরেজমিনে তার কোনো দৃষ্টান্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসকও জানালেন, প্রয়োজন আইন মানে না।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক নুরুল ইসলাম, “এটিও সত্যি যে রক্ত আমাদের দরকার। যতক্ষণ পর্যন্ত অনুমোদিত ব্লাড ব্যাংক এখানে স্থাপিত না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত এটা বন্ধ করা যথোপযুক্ত হবে বলে আমি মনে করি না। অসংগতি যেখানে পাওয়া গেছে মোবাইল কোর্টের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।”
স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তা অধ্যাপক শামীউল ইসলাম মতে, আইন অমান্য করে এসব সেবা দেবার অধিকার হাসপাতালগুলোর নেই।
বর্তমানে পুরনো আইনের কয়েকটি ধারার ওপর ভর করেই চলছে রক্ত সঞ্চালনসহ বেসরকারি হাসপাতালগুলোর নানা কর্মকাণ্ড। স্বাস্থ্য অধিদফতরের এই কর্মকর্তা আরো জানালেন, হাসপাতালগুলোর দৌরাত্ম বন্ধে খুব দ্রুত আইনের সংস্কার হবে। পাশাপাশি তা প্রয়োগে নেয়া হবে বিশেষ ব্যবস্থা।