বিদ্যুৎ ও জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেছেন, “বাংলাদেশের যত পরিমাণ বিদ্যুৎ লাগবে তার সবটুকু দিতে প্রস্তুত ভারত। বর্তমান এবং ভবিষ্যত যখনই বাংলাদেশ চাইবে তখনই ভারত থেকে চাহিদামতো বিদুৎ পাওয়া যাবে।”
রোববার সকালে সচিবালয়ে ভারতের হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি। এ সময় শরণও গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের চাহিদা মতো বিদ্যুৎ ভারত দিতে প্রস্তুত রয়েছে। এই তথ্যসহ আরো কিছু দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
তবে, কী পরিমাণ বিদ্যুৎ বাংলাদেশের লাগবে বা ভারতে দিতে প্রস্তুত তা গণমাধ্যমকে জানাননি প্রতিমন্ত্রী বিপু।
বর্তমানে ভারত থেকে ৫শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমাদানি করছে বাংলাদেশ । সামনের ডিসেম্বর আরো ১০০ মেগাওয়াট আমদানি শুরু হবে। আগামী বছরে নতুন আরও এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানা গেছে।
এর বাইরে রিজিওনাল পাওয়ার শেয়ারিং নিয়েও কথা হয়েছে জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, “বাংলাদেশ, ভুটান, ইন্ডিয়া এবং নেপালের মধ্যে (বিবিআইএন) পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ আনা-নেয়ার বিষয়েও তারা (ভারত) ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন।”
নির্মিতব্য রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুকেন্দ্রকে বাংলাদেশ ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ স্মারক হিসেবে উল্লেখ করে পঙ্কজ শরণ বলেন, “দুই দেশের মালিকানা ভিত্তিক এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রমাণ হয় যে দ্বিপাক্ষিক ভালো সম্পর্ক কিভাবে নিজেদের উন্নয়নে কাজ লাগে।”
বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বাংলাদেশের সকল আইন মেনে নির্মিত হচ্ছে। এর সঙ্গে অবশ্যই পরিবেশগত বিষয়গুলো রয়েছে। তাই আমরা মনে করি এই প্রকল্প বাংলাদেশের সকল পরিবেশগত বিধি নিষেধ মেনে নির্মাণ হতে যাচ্ছে।