কে আসছেন কানাডার নেতৃত্বে? কাল সোমবারের নির্বাচনকে সামনে রেখে এই প্রশ্ন উঠেছে। নির্বাচনে মূলত তিনজনের মধ্যে লড়াই হবে। তাঁরা হলেন বর্তমান
প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হারপার, সুবক্তা ও আইনজীবী টমাস মুলকেয়ার এবং জাস্টিন ট্রুডো।
রক্ষণশীল নেতা স্টিফেন হারপার পরিচিত কিছুটা কট্টর বলে। নির্বাচনে ভোটারদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলার চেয়ে বরং তাঁকে দেশের অর্থনীতি নিয়ে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। তাঁর বিপরীত অবস্থানে নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা টমাস মুলকেয়ার। আর জাস্টিন ট্রুডো তো নবীন।
হারপার জিতলে কানাডার পররাষ্ট্রনীতিতে কোনো পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা নেই। মুলকেয়ার জিতলে কানাডায় প্রথমবারের মতো ক্ষমতায় আসবে ডেমোক্রেটিক দল। আর সাবেক প্রধানমন্ত্রী পিয়েরে ট্রুডোর ছেলে জাস্টিন ট্রুডো জিতলে আবার ক্ষমতায় আসবে লিবারেল পার্টি।
৫৬ বছরের রক্ষণশীল নেতা স্টিফেন হারপার একজন অর্থনীতিবিদ। ২০০৬ সাল থেকে ডানপন্থী দলের হয়ে কানাডার ক্ষমতায়। তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন দেশটির শিল্পসমৃদ্ধ কালগেরি শহর থেকে। সেখানেই কানাডার বেশির ভাগ তেল ও জ্বালানি বিষয়ক প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে। হারপার জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক কিয়েটো প্রটোকল থেকে কানাডাকে সরিয়ে নেন। শিল্পক্ষেত্রে কারও হস্তক্ষেপ চান না তিনি। তাঁর পররাষ্ট্রনীতি পশ্চিমা ঘেঁষা। প্রয়োজন মনে করলেই সেনাবাহিনীকে ব্যবহারের পক্ষে তিনি। পশ্চিমা বাহিনীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে আফগানিস্তান ও লিবিয়ায় অভিযান চালিয়েছে কানাডা। ইরাক ও সিরিয়ায় আইএস জঙ্গি দমনে পশ্চিমা অভিযানকে সমর্থন করেন হারপার।
হারপারের প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেটিক দলের মুলকেয়ার বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে যথেষ্ট সফল। ৬০ বছরের মুলকেয়ার বিভিন্ন ইস্যুতে হাউস অব কমন্সে সরকারকে চাপে রাখেন। আইএস জঙ্গি দমনে কানাডার অভিযান বন্ধ করতে চান মুলকেয়ার। তিনি পরিবেশবাদীও। মুলকেয়ার লিবারেল পার্টির পরিবেশমন্ত্রী ছিলেন। এর আগে তিনি সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট দলে ছিলেন। পরে নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টিতে যোগ দেন মুলকেয়ার। দলটির ক্যানসারে আক্রান্ত নেতা জ্যাক লেটনের মৃত্যুর পর তিনিই উত্তরসূরি হন।
জাস্টিন ট্রুডো কানাডার রাজনীতিবিদ। তিনি লিবারেল পার্টির নেতা। কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী পিয়েরে ট্রুডোর ছেলে।
নির্বাচনে জেতার সম্ভাবনা আছে জাস্টিন ট্রুডোরও।
২০০৮ সালে মন্ট্রিল থেকে নির্বাচিত হন ট্রুডো। পাঁচ বছর পর তিনি উদারপন্থী রাজনীতিতে আসেন। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, তাঁর তারুণ্য ও জনপ্রিয়তা রক্ষণশীল দলকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারে। তিনি কানাডার মধ্যবিত্ত শ্রেণির কাছে বেশি জনপ্রিয়। এএফপি অবলম্বনে