দেশে নতুন করে শ্রমশক্তি জরিপের চিন্তা-ভাবনা

দেশে নতুন করে শ্রমশক্তি জরিপের চিন্তা-ভাবনা

বাংলাদেশের মোট শ্রমশক্তির পরিসংখ্যান নির্ধারণ করার জন্য নতুন করে শ্রমশক্তি জরিপের 6চিন্তা-ভাবনা চলছে। ২০১০ সালের জরিপ অনুযায়ী দেশে বর্তমানে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে ৫ কোটি ৬৭ লাখ শ্রমশক্তি রয়েছে। এরমধ্যে ৩ কোটি ৯৫ লাখ পুরুষ ও ১ কোটি ৭২ লাখ নারী শ্রম শক্তি। শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু এ ব্যাপারে আজ শনিবার বলেন, বাংলাদেশের মোট শ্রম শক্তির পরিসংখ্যান নির্ধারণ করার জন্য নতুন করে শ্রমশক্তি জরিপের চিন্তা-ভাবনা চলছে।
প্রতিমন্ত্রী চুন্নু বলেন, সরকারের পরিসংখ্যান বিভাগ প্রতি ৫ অথবা ১০ বছর পর জাতীয়ভাবে জরিপ কাজ পরিচালনা করে থাকে। যেহেতু ৫বছর আগে শ্রম জরিপ হয়েছিল তাই নতুন করে শ্রম শক্তি জরিপ করার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। বর্তমানে দেশের মোট জনসংখ্যা হচ্ছে ১৫ কোটি ৯৩ লাখ ৮৬ হাজার ২৭৪ জন। এরমধ্যে ৬ কোটির ও বেশি লোক কাজ করতে সক্ষম। শ্রম বিষয়ক বিশেষজ্ঞদের মতে, যাদের বয়স ১৫ বছরের অধিক তাদেরকে শ্রমশক্তির আওতায় আনা হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর শ্রম শক্তি জরিপে বলা হয়েছে, ২০১০-এর তথ্যানুয়ায়ী মোট শ্রমশক্তির ৮৭ শতাংশ অর্থাৎ ৪ কোটি ৭০ লাখ অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কাজ করেন। বাকী মাত্র ১৩ শতাংশ শ্রমশক্তি রয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক খাতে। বর্তমানে দেশে ২৬ লাখ বেকার রয়েছেন। উচ্চ প্রবৃদ্ধি হলে বর্তমানে যে হারে কর্মসংস্থান হচ্ছে, তারচেয়ে বেশি হারে কর্মসংস্থান হবে। এতে প্রতিবছর যতসংখ্যক মানুষ শ্রমবাজারে যুক্ত হয়, তাদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা যাবে। উৎপাদন বাড়িয়ে শ্রমনির্ভর শিল্পের দিকে বেশি নজর দিতে হবে। কৃষির পাশাপাশি শিল্প ও সেবা খাতের ওপর জোর দিতে হবে। প্রসঙ্গত বিভিন্নভাবে কাজের মধ্যে রয়েছে দেশের প্রায় ৫ কোটি ৮১ লাখ মানুষ। ২০১০ সালে এ সংখ্যা ছিল ৫ কোটি ৪১ লাখ।
শ্রমিক নেতা ও শ্রম বিশেষজ্ঞ এম ইসরাফিল আলম জানান, বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার ২৮ শতাংশ শহরে ও ৭২ শাতংশ গ্রামে বাস করে। গ্রামে বসবাসরতদের প্রায় অধকিাংশ কৃষি বা কৃষিজ কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিধায় দেশেরে ৪৭শতাংশ শ্রমশক্তি সরাসরি কৃষি এবং ৮০ শাতংশ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কৃষি সর্ম্পকিত কাজে নিয়োজিত। বাকীরা শিল্পসহ অন্যান্য অপ্রাতষ্ঠিানকি খাতে নিয়োজিত। তিনি বলেন, বিবিএসের শ্রমশক্তি জরিপের প্রাথমিক এ হিসাবে দেখা গেছে, বর্তমানে দেশে ২৬ লাখ বেকার রয়েছেন ২০১১ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে এ ধরনের অর্ধ বেকার বেড়েছে এক কোটির বেশি। আর ২০১৪ সালে এসে তা হয়েছে প্রায় ২ কোটি ১৫ লাখ।

Featured অর্থ বাণিজ্য