তদন্তের জবানবন্দীই সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণের আবেদন

তদন্তের জবানবন্দীই সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণের আবেদন

মানবতাবিরোধী অপরাধে আটক জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেওয়া সাক্ষীদের জবানবন্দীই সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণের আবেদন জানিয়েছে প্রসিকিউশন।

এ ছাড়া সাক্ষী হাজির করা সম্ভব নয় বলে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে অপারগতা প্রকাশ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে ট্রাইব্যুনালের কাছে প্রসিকিউশন এ আবেদন করে।

আবেদনে বলা হয়েছে, সাক্ষী হাজির করা দুরূহ, সময় সাপেক্ষ এবং ব্যয়বহুল। এসব কারণে সাক্ষী হাজির করা আদৌ সম্ভব নয়।

অপরদিকে আসমিপক্ষের আপত্তির কারণে এ বিষয়ে ২৫ মার্চ শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

এরইমধ্যে ৬৮ সাক্ষীর মধ্যে ২৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে সাক্ষীর অনুপুস্থিতির কারণে বেশ কয়েকবার সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়নি। ফলে আসামিপক্ষের মৌখিক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০ মার্চের মধ্যে বাকি সাক্ষীদের অবস্থান জানাতে প্রসিকিউশনকে নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

কিন্তু প্রসিকিউশন এতে ব্যর্থ হয়ে তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেওয়া জবানবন্দীকেই সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করার জন্য আবেদন জানায়।

আসামিপক্ষের আইনজীবী মিজানুল ইসলাম এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে দেওয়া জবানবন্দী সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ বিশ্বের কোনো আইনে নেই। তাই নজিরবিহীন এ আবেদনে আপত্তি জানিয়েছি।

এদিকে প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলীকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘বিধান আছে বলেই আবেদন করা হয়েছে। আগামী ২৫ তারিখ শুনানিতে আপনারা বিস্তারিত জানতে পারবেন।’

হায়দার আলী বলেন, আসামিপক্ষের লোকজনের হুমকিধামকিতে বেশকয়েকজন সাক্ষী এলাকা ছেড়েছে। এর মধ্যে ৭৮ বছর বয়স্ক একজন সাক্ষী রয়েছেন। তিনি তার স্মৃতিশক্তি হারিয়েছেন। তাকে ভ্রমণ করালে মৃত্যু ঝুঁকিও রয়েছে। এ ছাড়া আরও কয়েকজন ইতিমধ্যে ভারতে চলে গেছেন।

এরমধ্যে বেশ কয়েকজন সাক্ষী আছেন, যারা মামলার ঘটনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ তবে তারা প্রত্যক্ষদর্শী নয়।

৪৬ জনের মধ্যে কেউ কি প্রত্যক্ষদর্শী ছিল এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এদের মধ্যে ১৯ জনই প্রত্যক্ষদর্শী। তবে বাকিরা প্রতক্ষদর্শী না হলেও গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী।

বাংলাদেশ