তিনি পর্দার নায়ক৷ তবে শুধুই পর্দার নন, বাস্তবেরও৷ সমাজের মঙ্গলের নানা কারণে তিনি নিজেকে জড়িয়ে রাখেন ৷ আর সেই নায়কোচিত কাজের জন্যই গতকাল ১৫ অক্টোবর যুক্তরাজ্যের এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি উপাধি পেয়েছেন কিং খান। মানবপ্রেমের পুরস্কার হিসেবে তাকে এই সম্মাননা দেয়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে শাহরুখের এ স্বীকৃতি নতুন নয়৷ তবে সারা দুনিয়ার অন্যতম শ্রেষ্ঠ চিন্তাবিদ থেকে দার্শনিকরা যে ঐতিহ্যের অংশ, সে পথের অনুসারী হতে পেরে আপ্লুত বাদশা৷ স্বীকৃতি পাওয়ার পর সে কথাই জানিয়েছেন তিনি৷ ছাত্রছাত্রীদের সামনে নিজের জীবনের কথা তুলে ধরেন তিনি ৷ দেশে প্রায় সকলেই জানেন তার কথায় শাহরুখ কতখানি রসিক ৷ তাছাড়া নিজের কাজে তিনি যেভাবে ‘ফোকাস’ ধরে রাখেন, যেভাবে ‘নেগেটিভিটি’ ছাপিয়ে ‘পজিটিভ’ থাকেন তা তরুণ প্রজন্মের কাছে নিঃসন্দেহে শিক্ষণীয়৷ এদিন ছাত্রছাত্রীদের সামনে সে কথাই তুলে ধরছিলেন তিনি৷ জানিয়েছেন, অনেকেই ভাবেন সিনেমার নায়কদের ঘটনাচক্রে স্টার হয়ে ওঠা ছাড়া আর কিছু নেই৷ কেন যে সিনেদুনিয়ার লোকেদের সকলে বোকা ভাবেন তিনি জানেন না৷ তবে নিজের কাজে তিনি বরাবর তা ভেঙে বেরবার চেষ্টা করেছেন বলে জানান বাদশা৷ তাঁর অভিনীত সিনেমাগুলোর উদাহরণ দিয়েই তিনি ছাত্রছাত্রীদের জানিয়ে দেন জীবন থেকে পাওয়া তার শিক্ষার কথা৷
জীবনের নানা ওঠাপড়ার কথাগুলো সঙ্গে নিজের ছবির নাম মিশিয়ে শারুখ খুব কৌশলেই বলিউকে তুলে ধরেন বিদেশের মাটিতে৷ বক্তৃতার শেষ লাইনেও ছিল চমক৷ সামনের সারিতে বসা প্রোফেসরদের তিনি লুঙ্গি ডান্স করতে ডাকেন৷ যদিও প্রফেসররা তা কতটা বুঝেছেন তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়৷ তবু ডঃ শাহরুখ খানের কথার খেই ধরতে পারলে বলিউডকেই যে চিনতে পারবেন তারা তা নিয়ে কোনও সন্দেহই নেই৷