সিলেটের শিশু সামিউল আলম রাজন (১৩) হত্যা মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলামকে সিলেটের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১০টায় তাকে সড়কপথে ঢাকা থেকে সিলেটে নিয়ে যাওয়া হয়। তার আগে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে কামরুলকে নিয়ে সৌদি আরব থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায় পুলিশের ৩ সদস্যের টিম। গত সোমবার তারা কামরুলকে দেশে ফেরাতে সৌদি আরবে যান। এদিকে সিলেট মহানগর পুলিশ কার্যালয়ে রাত সোয়া ১০টায় সংবাদ ব্রিফিংয়ে সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার কামরুল আহসান জানান, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজন হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে আদালতে তোলা হবে। সন্ধ্যায় কামরুলকে নিয়ে ঢাকা থেকে সড়কপথে সিলেটের উদ্দেশে রওনা দেয় পুলিশ।
কামরুলকে দেশে আনা উপলক্ষে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগে থেকেই পুলিশ মোতায়েন ছিল। বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন শেষে তাকে নিচতলার গেট দিয়ে বের করে আনা হয় সাংবাদিকদের সামনে। এ সময় কামরুলের দুই হাতে হ্যান্ডকাফ ও মাথায় হেলমেট ছিলো। তার পরনে ছিল ক্রিম কালার প্যান্ট ও চেক স্ট্রাইপ শার্ট এবং তার ওপর পুলিশ লেখা বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট। এর ওপর সাদা তোয়ালে দিয়ে তার শরীর ঢাকা ছিল। এ সময় কামরুলের বিধ্বস্ত চেহারা ও মুখভর্তি দাড়ি দেখা গেছে। তাকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ দেয়া হয়নি। বিমানবন্দরে আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল সিলেটের উদ্দেশে ছাড়ার জন্য প্রিজনভ্যান। আনুষ্ঠানিকতা শেষে ওই ভ্যানে তাকে তুলে সিলেটে রওনা দেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) দুই প্রতিনিধি। বিমানবন্দরে কামরুলকে দেখার জন্য উৎসুক মানুষের ভিড়ও দেখা গেছে।
প্রসঙ্গত গত ৮ জুলাই সিলেটে শিশু রাজনকে চোর অপবাদ দিয়ে কামরুলসহ আরও কয়েকজন মিলে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করে। ওই হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ফুটেজ মোবাইল ফোনে ধারণ করে ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়া হয়। এরপর থেকে সারাদেশে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। এ ঘটনার দুই দিন পর ১০ জুলাই প্রধান আসামি কামরুল সেজেদ্দায় পালিয়ে যায়। প্রবাসী বাংলাদেশীরা সেখানে তাকে আটক করে।