প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ছিটমহলের যত লোক আছে কেউ আর এখন ছিটমহলবাসী না, তারা এখন একেকটা রাষ্ট্রের নাগরিক। ফুলবাড়ীতে যারা আছেন তারা নতুন প্রস্ফুটিত একগুচ্ছ ফুল। তিনি বলেন, ৬৮ বছরের সেই বঞ্চনা আর কষ্ট আপনাদের থাকবে না। জাতির পিতার বেঁচে থাকতে চেষ্টা করে গেছেন। সে চেষ্টা থেমে না গেলে অনেক আগেই আপনারা আজকের অবস্থায় আসতেন। কিন্তু জাতির পিতাকে কেড়ে নেয়ায় এতদিন আপনারা সেই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি। আজ বৃহস্পতিবার সকালে সাড়ে ১১টায় কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর দাসিয়ারছড়ায় এক সুধী সমাবেশে ২৭ মিনিট ভাষণকালে তিনি একথা বলেন। ভাষণে কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী ও পঞ্চগড়সহ সমস্ত ছিটমহলবাসী আর ছিটমহলবাসীনয় বরং তারা স্বাধীন দেশের নাগরিক বলে উল্লেখ করেন।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রাসক খান মো. নুরুল আমিনের সভাপতিত্বে সভার সুচনা বক্তব্যের পরপরই সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেন দাসিয়ারছড়াবাসীর পক্ষে হৈমন্তী শুক্লা, বিরোধীদলীয় চীপ হুইপ তাজুল ইসরাম চৌধুরী, ডিপুটি স্পীকার ফজলে রাব্বী এমপি, জ¦ালানী উপদেষ্টা ড.তৌফিক এলাহি, সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী দীপু মনি, প্রধানমন্ত্রীর মূখ্যসচিব আবুল কালাম আজাদ, সাহিত্যিক সৈয়দ শামসুল হক ও ফুলবাড়ী উপজেলা আওয়মী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী সরকার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন চৌধুরী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ মো.জাফর আলী।
প্রধানমন্ত্রী ভারতের র্পালামেন্টের সকল সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, স্থল সীমান্তচুক্তি বাস্তবায়ন করেছেন জন্য মোদি সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। সে সাথে ধন্যবাদ জানাই পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা ও মনিপুরীসহ যারা এ চুক্তি বাস্তবায়নে সহায়তা করেছেন তাদেরকেও। প্রধানমন্ত্রী একটি পুলিশ ফাঁড়ি, ৬৪৩টি পরিবারে বিদ্যুৎ সংযোগ, ৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, একটি হাই স্কুল, মসজিদ ও মন্দির ভিত্তিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ৩টি কমিউনিনিটি ক্লিনিকের স্থাপনের ঘোষণা দিয়ে বলেন, একজন মানুষের উন্নত জীবন যাপনের জন্য যা যা প্রয়োজন আওয়ামীলীগ সরকার তাই তাই করে যাবে। যারা নিঃস্ব তাদের জন্য আশ্রয়ণের ব্যবস্থা করা হবে, যাদের ঘরবাড়ী নেই তাদের ঘরবাড়ীর ব্যবস্থা করা হবে।
দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কেউ যেন শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত না হয় তার উদ্্েযাগ নেয়া হয়েছে। কুড়িগ্রাম এক সময় মঙ্গার দেশ ছিল, নানা সময়ে নানান দূর্ভিক্ষে তিনি এই জেলা সফর করে গেছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে মঙ্গা দুর করার জন্য কাজ করেছে। কুড়িগ্রাম মঙ্গা মুক্ত হয়েছে,অনেক উন্নয়ন হয়েছে এখানে। এ এলাকার লোকদের নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য একটি পুলিশ ফাঁড়ি, সমবায় অধিদপ্তর, কৃষি, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়সহ দেশের সব মন্ত্রলায়ণ কাজ শুরু করছে জানিয়ে তিনি বলেন, শুধু খাদ্যে নিরাপত্তাই নয় পুষ্টি নিরাপত্তায়ও কাজ শুরু করা হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের কথা স্বরণ করে তিনি বলেন, জাতির পিতা সোনার বাংলা গড়ার জন্য অনেক বঞ্চনা সহ্য করেছেন, নিপিড়ন সহ্য করেছেন। তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার জন্য আমার সরকার কাজ করে যাবে।