মিশরের সাধারণ নির্বাচনের তথ্য ও পরিসংখ্যান

মিশরের সাধারণ নির্বাচনের তথ্য ও পরিসংখ্যান

মিশরে আগামী রবিবারের সাধারণ নির্বাচনের প্রথম দফায় ২ কোটি ৭০ লাখের বেশি ভোটার 6তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। ২০১৩ সালে দেশটির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতা থেকে উচ্ছেদের পর এই প্রথমবারের মতো পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ৫৯৬ সদস্যের পার্লামেন্ট নির্বাচন ১৭ অক্টোবর ও ২ ডিসেম্বরের মধ্যবর্তী সময়ে দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে জানা গেছে।
জানা যায়, বহু বিলম্বিত এই নির্বাচনটি ৮ কোটি ৮০ লাখ জনসংখ্যা অধ্যুষিত বৃহত্তম সুন্নি আরব রাষ্ট্রটির ‘গণতন্ত্রের রূপরেখার’ সর্বশেষ মাইলফলক। এই রূপরেখায় একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন ও গত বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনটিও ছিল। ওই নির্বাচনে জয়লাভ করে আল- সিসি ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। মিশরের সাবেক সেনাপ্রধান ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসি এই নির্বাচনের ঘোষণা দেন। মুরসির উচ্ছেদের পর তিনি মিশরের শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন।
মুরসির মুসলিম ব্রাদারহুডকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে কালো তালিকাভুক্ত করা হয় এবং দলটির নেতৃবৃন্দ ও হাজার হাজার সমর্থককে জেলে পাঠানো হয়। দলটিকে নির্বাচনে অংশ গ্রহণের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। কিছু ধর্মনিরপেক্ষ ও বামপন্থী যুব সংগঠন ও পার্টি নির্বাচন বয়কট করে। মিশরের গত পার্লামেন্ট নির্বাচনে সালাফি অথবা সুন্নি মৌলবাদীদের সঙ্গে মুসলিম ব্রাদারহুড বিপুল ভোটে জয়লাভ করে। কিন্তু ২০১২ সালের জুন মাসে পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দেয়া হয়।
গত সাধারণ নির্বাচনে ৫৪.৯ শতাংশ ভোট পড়েছিল। অপর প্রবীণ নেতা অপসারিত হুসনি মোবারকের জাতীয় ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পর আইনপ্রণেতা ও সদস্যরা এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। ১৪ গভর্নরেট এলাকায় প্রথম ধাপে রবিবার ও সোমবার এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে বিদেশে বসবাসরত মিশরীয়রা শনিবার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। দ্বিতীয় ধাপে বাকি ১৩টি গভর্নরেটের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তখন ২ কোটি ৮০ লাখ ভোটার ভোট দেবেন। যদি কোন আসনে পুনরায় ভোটের প্রয়োজন হয় তা ২৭ ও ২৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের দুই দিন পর ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

Featured আন্তর্জাতিক