বুড়িগঙ্গার তীরে গড়ে ওঠা ১৫০টি অবৈধ স্থাপনা আজ বৃহস্পতিবার উচ্ছেদ করা হয়েছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ও ঢাকা জেলা প্রশাসন যৌথভাবে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার চকবাজার থানাধীন সোয়ারীঘাট এলাকা থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে। উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন ঢাকা জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব জামিল।
চকবাজার থানাধীন সোয়ারীঘাট, কামালবাগ, ইসলামবাগ এবং লালবাগ থানাধীন কিল্লারমোড় লবণ কারখানা এলাকা পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় বুড়িগঙ্গার তীরে গড়ে ওঠা দেড় শ ছোট-বড় অবৈধ স্থাপনা আজ উচ্ছেদ করা হয়।
বেলা দুইটার দিকে কিল্লারমোড় এলাকার একটি লবণের কারখানার টিনশেডের গুদাম ও ছাপড়া ঘর উচ্ছেদ করতে গেলে জমির মালিকানা দাবিদার মুনসুর আনমের পক্ষে তাঁর চাচা হাজি নুর আমিন জমির কাগজপত্র নিয়ে কর্তব্যরত ম্যাজিস্ট্রেট ও উচ্ছেদ পরিচালনাকারী লোকজনের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, ‘এটা আমার ভাতিজা মুনসুর আনমের পৈতৃক সম্পত্তি। বাকচান খা মৌজায় সিএস ৪০, আরএস ১০ এবং এসএ ৩১ দাগে ৩ একর ৩০ শতাংশ জায়গা রয়েছে। আমরা ১ একর জায়গায় শামা সল্টের কারখানা করেছি। বাকি ২ একরের বেশি জায়গা নদীতে রয়েছে।’ তাঁর অভিযোগ, সরকার কোনো নোটিশ না দিয়ে গুদামঘর ও স্থাপনা ভেঙে দিয়েছে।
ঢাকা জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব জামিল সাংবাদিকদের বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশে বুড়িগঙ্গার তীরে গড়ে ওঠা সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চলছে। নদীর জায়গা কাউকে দখল করতে দেওয়া যাবে না। যদি কেউ অবৈধভাবে নদীর জায়গা দখল ও স্থাপনা গড়ে তোলে, তবে অবৈধ দখলদার যে-ই হোক, তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উচ্ছেদ অভিযানে অন্যদের মধ্যে ছিলেন ঢাকা নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক গুলজার আলী, বন্দর কর্মকর্তা মো. শহীদ উল্লাহ প্রমুখ।