মিয়ানমারের আটটি সশস্ত্র নৃগোষ্ঠীর সঙ্গে শান্তিচুক্তি করেছে দেশটির সরকার। চুক্তির বাইরে রয়েছে সবচেয়ে সক্রিয় সাতটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। আজ বৃহস্পতিবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
রাজধানী নেপিডোয় আজ এই শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের অনুষ্ঠান হয়। প্রায় দুই বছর ধরে শান্তি আলোচনার পর চুক্তি হলো।
১৯৪৮ সালে ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীন হওয়ার পর বৃহত্তর স্বায়ত্তশাসন দাবি করা বিভিন্ন নৃতাত্ত্বিক বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে অনেক দিন ধরেই মিয়ানমার সরকারের সশস্ত্র সংঘাত চলছে।
বিবিসি বলছে, যারা আজ শান্তিচুক্তি করেছে, তারা আগেই যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। তাই এই চুক্তিতে বিদ্যমান সংঘাত বন্ধ হচ্ছে না।
মিয়ানমার সরকার এই চুক্তিকে চূড়ান্ত রাজনৈতিক মীমাংসার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে।
মধ্যস্থতাকারীরা বলছেন, যে সাতটি গোষ্ঠী শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করেনি, তাদের সঙ্গে দূরত্ব খুব বেশি নয়। তারা একটি খসড়া চুক্তিতে সম্মত হয়েছে।
শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর না করা গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে রয়েছে ইউনাইটেড ওয়া স্টেট আর্মি (ইউডব্লিউএসএ) এবং কোচিন ইনডিপেনডেন্স অর্গানাইজেশন (কেআইও)। কেআইওর কোচিন ইনডিপেনডেন্স আর্মি (কেআইএ) দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় কোচিন রাজ্যের বৃহৎ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাদের নিয়মিত সংঘর্ষ হচ্ছে।