হিলারি-স্যান্ডার্স তীব্র বাগ্যুদ্ধ

হিলারি-স্যান্ডার্স তীব্র বাগ্যুদ্ধ

যুক্তরাষ্ট্রের আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের প্রাথমিক 15বিতর্কে হিলারি ক্লিনটন এবং তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বার্নি স্যান্ডার্সের মধ্যে কথার লড়াই হয়েছে। লাস ভেগাসে গত মঙ্গলবার রাতে তাঁরা মার্কিন আগ্নেয়াস্ত্র আইন, সিরিয়া যুদ্ধ, পুঁজিবাদ, জনকল্যাণ প্রভৃতি বিষয় নিয়ে বিতর্কে অংশ নেন। খবর বিবিসির।
স্যান্ডার্সের বিরুদ্ধে ওই বিতর্কে আত্মবিশ্বাসী ও সাবলীল বক্তব্য দিয়ে প্রশংসিত হয়েছেন সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সাবেক ফার্স্ট লেডি হিলারি। এতে মনোনয়ন পাওয়ার লড়াইয়ে তিনি কিছুটা এগিয়ে গেলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে স্যান্ডার্স মোটেও কঠোর অবস্থান নেননি বলে অভিযোগ করেন হিলারি। গোলাগুলির বিভিন্ন ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্রনির্মাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অঙ্গীকারও করেন তিনি। অন্যদিকে স্যান্ডার্সও হিলারিকে আক্রমণ করে বলেন, সিরিয়ায় একটি অঞ্চলে উড়োজাহাজ চলাচল বন্ধ করতে হিলারি যে প্রস্তাব দিয়েছেন, তা গুরুতর সমস্যা তৈরি করবে।
গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে স্যান্ডার্সের সমর্থনে বড় বড় সমাবেশ হয়েছে। তাই তাঁর সঙ্গে মনোনয়নের লড়াইয়ে হিলারিকে কিছুটা বেগ পেতে হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওরেগন অঙ্গরাজ্যের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাম্প্রতিক গোলাগুলির ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই তাঁরা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আলোচনা শুরু করেন। মঙ্গলবারের বিতর্কে এ দুজন ছাড়াও আরও তিন মনোনয়নপ্রত্যাশী অংশ নেন। তাঁরা হলেন ম্যারিল্যান্ডের সাবেক গভর্নর মার্টিন ও’ম্যালে, ভার্জিনিয়ার সাবেক সিনেটর জিম ওয়েব এবং রোড আইল্যান্ডের সাবেক সিনেটর লিঙ্কন চাফি। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও মঙ্গলবারের বিতর্কে অংশ নেবেন বলে আশা করছিলেন তাঁর সমর্থকেরা। তবে শেষ পর্যন্ত ওই অনুষ্ঠানের মঞ্চে তিনি হাজির হননি।
হিলারি ও স্যান্ডার্স দুজনেই পুঁজিবাদের বিভিন্ন সুবিধা নিয়ে কথা বলেন। স্যান্ডার্স একটি রাজনৈতিক বিপ্লবের আহ্বান জানিয়ে বলেন, কংগ্রেস ওয়াল স্ট্রিটকে নিয়ন্ত্রণ করে না। ওয়াল স্ট্রিটই কংগ্রেসকে নিয়ন্ত্রণ করে।
কিন্তু স্যান্ডার্স আরও বলেন, নরডিক (স্ক্যান্ডিনেভিয়া অঞ্চল) দেশগুলো শ্রমজীবী জনগণের জন্য অনেক কিছু করেছে। সেদিকে যুক্তরাষ্ট্রের তাকানো উচিত।
জবাবে হিলারি ক্লিনটন বলেন, ‘আমাদের দেশটা ডেনমার্ক নয়। আমি ডেনমার্ক ভালোবাসি। কিন্তু আমাদের দেশের নাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।’
হিলারির ই-মেইল বিতর্কের প্রসঙ্গ উঠলে স্যান্ডার্স বলেন, এ নিয়ে যথেষ্ট হয়েছে। আমেরিকার জনগণ এটা শুনতে শুনতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে।
হিলারি ২০০৮ সালে ডেমোক্রেটিক পার্টির মনোনয়ন পাওয়ার লক্ষ্যে অন্তত ২০টি বিতর্কে অংশ নিয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত ওই বছর বারাক ওবামাই দলীয় মনোনয়ন নিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেন ও জয়ী হন।

Featured আন্তর্জাতিক